ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনে এক সপ্তাহে নিঃস্ব পাঁচ শতাধিক পরিবার

প্রকাশিত: ০৪:১০, ১১ আগস্ট ২০১৬

ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনে এক সপ্তাহে নিঃস্ব পাঁচ শতাধিক পরিবার

নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা, ১০ আগস্ট ॥ ফুলছড়ি উপজেলায় ব্রহ্মপুত্র তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। গত এক সপ্তাহে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৫ শতাধিক বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙ্গন আতঙ্কে ওই সব এলাকা থেকে লোকজন ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। উপজেলার ফজলুপুর ইউনিয়নের চন্দনস্বর, উত্তর খাটিয়ামারি, পশ্চিম খাটিয়ামারি, পূর্ব খাটিয়ামারি, কুচখালি, এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের জিগাবাড়ি, গজারিয়া ইউনিয়নের জিয়াডাঙ্গা, গলনা, ভাজনডাঙ্গা, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব কঞ্চিপাড়া এবং উড়িয়া ইউনিয়নের রতনপুর, কালাসোনার চর ও উত্তর উড়িয়া গ্রামে ব্যাপক নদী ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। সবচেয়ে ভাঙ্গনের মুখে পড়েছে ফজলুপুর ইউনিয়ন। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন জালাল জানান, এক সময়ে সেখানে ৫ হাজার ৪৬৩টি পরিবারের বাস ছিল। ইতোমধ্যে নিশ্চিন্তপুর, কৃষ্ণমনি, মনোহরপুর, মানিকচর, চিনিরপটল, চৌমহন ও কুচখালিসহ ৭টি গ্রাম সম্পূর্ণভাবে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়া চন্দনস্বর, উত্তর খাটিয়ামারি, পশ্চিম খাটিয়ামারি ও পূর্ব খাটিয়ামারি গ্রামের ৭৫ ভাগ মানুষ ঘরবাড়ি হারিয়ে অন্যত্র গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। অপরদিকে গজারিয়া ইউনিয়নের জিয়াডাঙ্গা, ভাজনডাঙ্গা, এরেন্ডাবাড়ি ইউনিয়নের জিগাবাড়ি, কঞ্চিপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব কঞ্চিপাড়া, উড়িয়া ইউনিয়নের রতনপুর, কালাসোনা ও উত্তর উড়িয়া গ্রামে গত এক সপ্তাহে ৯০টি পরিবার গৃহহারা হয়ে বিভিন্ন বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। ভোলায় মানববন্ধন নিজস্ব সংবাদদাতা ভোলা থেকে জানান, নদী ভাঙ্গন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। গত ২ সপ্তাহে মেঘনার ভাঙ্গনে রাজাপুরের প্রায় ১ হাজার পরিবারের ঘর বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক কিমি পাকা রাস্তা ও শত শত একর ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। বুধবার সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নদী ভাঙ্গনের শিকার কয়েক হাজার মানুষ অংশ নেয়। মেম্বার মাসুদ রানার সভাপতিত্বে বক্তাব্য রাখেন আরি হোসেন মাস্টার, নজরুল ইসলাম জমাদার প্রমুখ।
×