ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

শরীয়তপুরে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত ॥ বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১০ আগস্ট ২০১৬

শরীয়তপুরে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত ॥  বিক্ষোভ

নিজস্ব সংবাদদাতা, শরীয়তপুর, ৯ আগস্ট ॥ ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছুরিরচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আলী আহাম্মদকে বিদ্যালয় থেকে অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিদ্যালয়ের মাঠে শিক্ষার্থী, শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী মিলে এ কর্মসূচী পালন করেছে। স্থানীয়রা জানান, ভেদরগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে অবস্থিত বিদ্যালয়ে ৩২২ শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। সুবিধাবঞ্চিত এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপ-বৃত্তির টাকা বন্টন করার সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম আলী আহাম্মদ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ৫শ’ থেকে ১ হাজার টাকা করে রেখে দিয়েছেন। শিক্ষার্থী সুমা খাতুনের বাবা আব্দুল খালেক, সাইফুল ইসলামের মাতা জহুরা বেগম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি লালমিয়া বেপারীসহ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, তাদের সন্তানদের প্রতি মাসে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে ১২ মাসে এক হাজার ২শ’ টাকা উপ-বৃত্তি প্রদান করার কথা থাকলেও বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এসএম আলী আহাম্মদ তাদের সম্পূর্ণ টাকা না দিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তারা অভিযোগ করে বলেন, কোন কোন শিক্ষার্থীকে প্রাপ্য উপ-বৃত্তির টাকা সম্পূর্ণ না দিয়ে অর্ধেক আবার কোন কোন শিক্ষার্থীকে এক-তৃতীয়াংশ টাকা দিয়েছেন। এছাড়াও এ বিদ্যালয়ে পড়েনা এমন শিক্ষার্থীদের ভ’য়া নাম লিখিয়ে উপ-বৃত্তির টাকা উত্তোলণ করে তা আত্মসাত করছে প্রধান শিক্ষক। এ ব্যাপারে প্রধান শিক্ষক এসএম আলী আহাম্মদ বলেন, আমি শিক্ষার্থীদের উপ-বৃত্তির কোন টাকা আত্মসাৎ করিনি। নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বী একটি গ্রুপ আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার চালাচ্ছে। এদিকে ভেদরগঞ্জ উপজেলার ১২৭ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে চরাঞ্চলের অধিকাংশ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাপ্য উপ-বৃত্তির টাকা তাদের মাঝে সুষ্ঠুভাবে বিতরণ না করে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষা অফিসাররা পরস্পর যোগসাজশে ভাগ-বাটোয়ারা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষার্থীদের নামের বিপরীতে ভ’য়া মাস্টাররোল দেখিয়ে ব্যাংকে জমা দিয়ে অতিরিক্ত টাকা উত্তোলণ করে এবং শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আংশিক দিয়ে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী শিক্ষা অফিসারগণ লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
×