ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গুলশান হামলার পর রেস্তরাঁ ব্যবসায় ধস

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ২১ জুলাই ২০১৬

গুলশান হামলার পর রেস্তরাঁ ব্যবসায় ধস

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সরকারের পাশাপাশি নিজ নিজ উদ্যোগে নিরাপত্তা বাড়িয়েও ব্যবসায়িক লোকসান কাটাতে পারছে না রাজধানীর পাঁচতারকা হোটেল ও অভিজাত রেস্তরাঁগুলো। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নিরাপত্তাজনিত কারণে বিদেশীদের বাংলাদেশ সফরে অনীহার পাশাপাশি অগ্রিম বুকিং অর্ডার বাতিল করেছেন সম্ভাব্য অতিথিরা। একই সঙ্গে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সভা-সেমিনারসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজনেও ভাটা পড়েছে। সার্বিকভাবে অভিজাত এসব হোটেল ও রেস্তরাঁ পরিচালনা ব্যয় বহন করতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্তৃপক্ষ। স্বাভাবিক সময়ে রাজধানীর অভিজাত রেস্তরাঁগুলো অতিথিদের পদচারণায় মুখরিত থাকে। অতিথিদের আতিথেয়তা দিতে গিয়ে দম ফেলার ফুরসত পান না রেস্তরাঁ কর্মীরা। কিন্তু সম্প্রতি রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলা বদলে দিয়েছে সবকিছু। অতিথির অভাবে রেস্তরাঁগুলোতে নেই আগের কর্মচাঞ্চল্য। প্রায় একই চিত্র পাঁচতারকা মানের হোটেলগুলোর। সম্প্রতি বাংলাদেশে বিশ্বের ৪৮টি দেশের প্রায় ৫শ’ প্রতিনিধির অংশগ্রহণে এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ-এপিজি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও নিরাপত্তার কারণে তা বাতিল করা হয়েছে। এতে ব্যবসায়িকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঁচতারকা হোটেল ও রেস্তরাঁগুলো। ভিলেজ রেস্টুরেন্ট ব্যবস্থাপক মেহেদী হাসান জানান, ‘সম্প্রতি জঙ্গী হামলার ঘটনার পর হোটেল ও রেস্তরাঁগুলোর লাভ অনেক পিছিয়ে গেছে। প্রায় ৬০ শতাংশ অতিথি বিদেশী ছিল। তাদের বেশি পদচারণা ছিল হোটেল ও রেস্তরাঁগুলোতে। সম্প্রতি এসব ঘটনায় হোটেল ও রেস্তরাঁগুলো এখন পথে বসার অবস্থায় চলে গেছে।’ এদিকে অতিথিদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে হোটেল কর্তৃপক্ষের নেয়া পদক্ষেপ অনেকটা চোখে পড়ার মতো। তাদের প্রত্যাশা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এ্যাবাকাস রেস্টুরেন্টের ব্যবস্থাপক আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা অনেক কড়া করা আছে। সিসি ক্যামেরা রয়েছে। চেক করে ঢুকানো হচ্ছে। তারপরও মানুষ আতঙ্কের মধ্যে আছে। সরকার যেভাবে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে আমরা আশাবাদী অতি শীঘ্রই একটা ভাল কিছু দেখতে পারব।’ দেশে পর পর দুটি জঙ্গী হামলার ঘটনায় রাজধানীর গুলশান ও বারিধারা এলাকায় অবস্থিত হোটেল ও রেস্তরাঁগুলোর ব্যবসা অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
×