ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তুরস্কে অভ্যুত্থান চেষ্টা

মার্কিন পরমাণু অস্ত্র মজুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ১৯ জুলাই ২০১৬

মার্কিন পরমাণু অস্ত্র মজুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ

অভ্যুত্থান চেষ্টার পর তুরস্কের ইনসিরলিক বিমান ঘাঁটিতে যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রের মজুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ওই ঘাঁটিতে প্রায় ৫০টি পারমাণু বোমা রয়েছে। তবে অভ্যুত্থানকারীরা এই ঘাঁটিটি ব্যবহার করেছে তুরস্কের এমন দাবির পর এটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তুরস্কের মতো এমন একটি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ইউরোপের সবচেয়ে বড় পারমাণবিক মজুদ গড়ে তোলায় যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞতা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। খবর গার্ডিয়ানের। এই ব্যর্থ অভ্যুত্থানের আগে সিরিয়া সীমান্ত থেকে মাত্র ৬৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কায় ন্যাটোর মনোনীত এলাকায় নিরাপত্তা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাড়ানো হয়। ওই ঘাঁটিতে আনুমানিক ৫০টি বি-৬১ পরমাণু বোমা ২১টি ভল্টে সংরক্ষিত রয়েছে। তবে শুক্রবারের ঘটনার পর উদ্বেগ বেড়েছে যে, এমন একটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে এমন বিপজ্জনক অস্ত্র রেখে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করলে ঝুঁকি কমবে কিনা। তুর্কী সরকার দাবি করেছে, অভ্যুত্থান চক্রান্তকারীদের কয়েকজন ছিলেন ইনসিরলিকের এবং তারা ঘাঁটি থেকে বিমান উড়িয়েছিল। এর ফলে ঘাঁটির বিমান উড্ডয়ন ও বিদ্যুত সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে সিরিয়ায় ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গীদের বিরুদ্ধে মার্কিন বিমান অভিযান সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্টিস্টসের পারমাণবিক অস্ত্র বিষয়ক বিশেষজ্ঞ হ্যানস ক্রিস্টেসেন বলেছেন, আমার মতে এই ঘটনার পর গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা হলো, তুরস্কে পারমাণবিক অস্ত্র মজুদের সুবিধা কম। কিন্ত গত পাঁচ বছরে ঝুঁকি বেড়েছে উল্লেখযোগ্যভাবে। আমি বলতে চাই তুরস্ক ও ইনসিরলিক ঘাঁটি এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু অস্ত্র মজুদ রাখার মতো এখন আর নিরাপদ নয়, তাই এখন সময় এসেছে অস্ত্রগুলো প্রত্যাহার করে নেয়ার। ধারণা করা হয়। ইউরোপের জার্মানি, ইতালি, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও তুরস্কে ১৮০টি বি-৬১ পরমাণু বোমা রয়েছে। এই কৌশলগত অস্ত্রগুলো স্নায়ুযুদ্ধ সময়কার এবং এগুলোকে সামরিকভাবে অপ্রচলিত বলে দেখা হয়। ইউরোপিয়ান লিডারশিপ নেটওয়ার্ক থিঙ্কট্যাংকের পরিচালক ইয়ান কেয়ার্নস বলেছেন, গোয়েন্দারা বলেছেন, সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি রয়েছে এবং অস্থিতিশীলতা প্রবণ এলাকায় পরমাণু অস্ত্রের মজুদ রাখা কোনভাবেই যুক্তিসঙ্গ নয়। এদিকে অভ্যুত্থান ও ইনসিরলিকের সম্পৃক্ততা ন্যাটোতে তুরস্কের ভূমিকাকে বিদ্ধ করে তুলেছে।
×