স্টাফ রিপোর্টার ॥ বরেণ্য সঙ্গীতকার লাকী আখন্দের চিকিৎসা সহায়তার জন্য অর্থের প্রয়োজন। তবে সবার কাছে অর্থ সাহায্য নয়, সরকারের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে তার পরিবার। লাকী আখন্দের মেয়ে মাম্মিন্তি শনিবার বিকেলে জনকণ্ঠকে বলেন, সাহায্য-সহযোগিতার ব্যাপারে সরকার এগিয়ে আসবে প্রত্যাশা করি। তবে কেউ যদি আন্তরিকতা ও ভালবাসা নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়ান তার সাহায্যও গ্রহণ করা হবে। গত বছর ব্যাংককে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সুরস্রষ্টাকে পাঁচ লাখ টাকা সহায়তা দিয়েছিলেন। আবারও সরকারের সহযোগিতাই চাইছেন জানিয়ে লাকীর মেয়ে মাম্মিন্তি বলেন, সরকার আমাদের পাশে দাঁড়াবে প্রত্যাশা করছি। বাবার ভক্ত যারা আছেন সবাই দোয়া করবেন। লাকী আখন্দের আত্মসম্মানবোধের কথা সবারই জানা। গত বছর চিকিৎসার জন্য ব্যাংকক যাওয়ার আগে ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) বসে জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গে আলাপকালে লাকী বলেছিলেন, আমার কাছে ৫ লাখ টাকা আছে। কিন্তু চিকিৎসার জন্য দরকার পড়বে ১৫-২০ লাখ টাকা। কিন্তু এবারের পরিপ্রেক্ষিত ভিন্ন। এবার তার পরিবার থেকে সাহায্য চাওয়া হয়েছে। মাম্মিন্তি বলেন, বাবা আত্মসম্মান নিয়ে খুব ভাবেন। কারও কাছে তিনি হাত পেতে কিছু নিতে চান না। শিল্পীদের ছোট করা হয় এমন কিছু যেন না হয়। তাই আমরা সরকারের সহযোগিতা নিতে চাই। সুরকার ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখন্দ এখন রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। বারডেম হাসপাতাল থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে সেখানে নেয়া হয়। ঈদের পরপর মেরুদ-ে প্রচ- ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন লাকী। ফুসফুস ক্যান্সারে ভুগছেন তিনি। এ বছরের জুনে চিকিৎসার জন্য আবারও ব্যাংকক যাওয়ার কথা ছিল লাকীর। কিন্তু জুন পেরিয়ে গেলেও তার যাওয়া হয়নি।
২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর অসুস্থ হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ভর্তি হন লাকী। সপ্তাহখানেক পর তার ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। তখনই ব্যাংককের পায়থাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
প্রথম দফায় শরীরে অস্ত্রোপচার হয়। এরপর অক্টোবরের প্রথম দিকে ঢাকায় নিজ বাসায় ফেরেন লাকী। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় নবেম্বরে তাকে ফের ব্যাংককে নেয়া হয়। এরপর গত ২৫ মার্চ ব্যাংকক থেকে দেশে ফেরেন তিনি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: