ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কালো টাকার তথ্য দিতে রাজি হয়েছে সুইস ব্যাংক

প্রকাশিত: ০৩:৫৯, ১৭ জুন ২০১৬

কালো টাকার তথ্য দিতে রাজি হয়েছে সুইস ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অবশেষে কালো টাকার তথ্য দিতে রাজি হয়েছে সুইস ব্যাংক। ২০১৮ সালের মধ্যে স্বয়ংক্রিয় তথ্য আদান-প্রদানে সম্মত হয়েছে কালো টাকার স্বর্গ হিসেবে পরিচিত সুইজারল্যান্ডের এই ব্যাংকটি। সুইস ব্যাংকে এ্যাকাউন্টধারীদের বিষয়ে জানতে গত বুধবার সুইজারল্যান্ডের অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে ভারতের কর্মকর্তারা। ওই বৈঠকের পর উভয় দেশের কর্মকর্তারা জানান, কালো টাকার দৌরাত্ম্য ঠেকাতে শীঘ্রই একটি ভারতীয় দল সুইজারল্যান্ডে যাবে। সুইস ব্যাংকে থাকা ভারতীয়দের এ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ করবে দলটি। অনেক দিন থেকেই সুইজারল্যান্ডের কাছে ভারতীয়দের কালো টাকার তথ্য চেয়ে আসছিল ভারত সরকার। অবশেষে গত ৬ জুন প্রধানমন্ত্রী মোদির সুইজারল্যান্ড সফরে এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছায় উভয় দেশ। দ্বিপাক্ষিক ট্যাক্স ও অর্থনৈতিক লেনদেন বিষয়ে দুই দেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এখন থেকে কালো টাকার বিষয়ে অটোমেটিক ব্যাংকিং তথ্য দেবে সুইজারল্যান্ড। এ ব্যাপারে প্রস্তুতি চলছে। ২০১৮ সালের মধ্যেই অর্থ লেনদেনের স্বয়ংক্রিয় তথ্য আদান-প্রদান শুরু হবে। ভারতের রাজস্ব সচিব হাসমুখ আধিয়া, অর্থনীতিবিষয়ক সচিব শক্তিকান্ত দাস এবং সুইজারল্যান্ডের আন্তর্জাতিক অর্থায়নবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী জ্যাকুইস ডি ওয়েটেভিলে বলেন, এই দ্বিপাক্ষিক সমঝোতার ফলে একটি আইনী ভিত্তির ওপর দাঁড়াল সুইজারল্যান্ড। এ বছরের শেষের দিকে দুই পক্ষই একটি চুক্তিতে উপনীত হবে। এই বিষয়ে আরও আলোচনা করতে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে মিলিত হবেন দুই দেশের বিশেষজ্ঞরা। ভারত মনে করছে, সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে চুক্তিটি যত দ্রুত করা যায় ততই ভাল। চুক্তিটি হলে সুইস ব্যাংকে ভারতীয়দের কালো টাকার তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পেতে থাকবে ভারত সরকার। হাসমুখ আধিয়া বলেন, সুইজারল্যান্ডের উচিত ভারতীয়দের কালো টাকার তথ্য দ্রুত সরবরাহ করা। এক টুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, কালো টাকার তথ্য চেয়ে ভারত সরকারের করা অনুরোধগুলোর পক্ষে দ্রুতই সাড়া দিতে যাচ্ছে সুইজারল্যান্ড। ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশে ভারতীয়দের কালো টাকা এবং অফশোর এ্যাকাউন্টের ব্যাপারে ব্যাপক অনুসন্ধানে নামছে দেশটি। এটি এখন ভারত সরকারের কাছে ‘টপ প্রায়ওরিটি’। অন্যদিকে কিছুদিন আগে পানামা পেপারে বেশকিছু বাংলাদেশীর অফশোর এ্যাকাউন্টের তথ্য প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জাতীয় সংসদে অফশোর এ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে তার অবস্থান জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশীদের কালো টাকা ও অফশোর এ্যাকাউন্টের তথ্য সংগ্রহ ও নজরদারি বাড়াতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তেমন কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।
×