ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

উপযোগী সাইবার পথ

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ১১ জুন ২০১৬

উপযোগী সাইবার পথ

ডিজিটাল বাংলাদেশ... অথবা তথ্যপ্রযুক্তির বিপ্লব। বিভিন্ন যন্ত্রাংশের আগমন, পরিচয় ও সূচনা। কথাবার্তা, ফ্যাশান, স্টাইল সেই সঙ্গে জীবনের প্রতিমুহূর্তে কানেক্ট থাকা এ যেন ফিকশন ছবিতেই মানায়। প্রয়োজনে হাতের ফোনটি হয়ে ওঠে মাল্টিপারপাস ইউজে। গান শোনা আর ছবি দেখা যে ধারণা শেষ হয়েছে গত কয়েক বছর আগে থেকেই। বরং সেদিন এক ক্রিয়েটিভ ফটোগ্রাফার বেশ উচ্চৈঃস্বরে দেখিয়ে দিন একটি মিউজিক ভিডিও। অবাক না হয়ে পারিনি। ফটোগ্রাফারটি বলেই চলল, এটা আমার করা, আমি তুলেছি। আইফোন দিয়ে। এইফোন বিপ্ললটি বাংলাদেশে ঘটেছে বেশ কয়েক বছর আগেই। কিন্তু ফোন দিয়ে প্রফেশনাল কাজ করা যায়। তাও আবার শিল্পগুণ ও এডিটিংসহ একটি পেশাদার ফর্মুলা বানিয়ে প্রেজেনটেশনের আইটেম। সত্যিই অনবদ্য। এ যেন অন্যরকম অধ্যায়ের সূচনা। এবার ধরা যায় না ছোঁয়া যায় না কিন্তু ভীষণ অনুভুবের একটি বিষয় তুলে ধরা যাক। এপ্লিকেশন, এ্যাপ। শব্দগুলো পরিচিত এখন এই দেশে ব্যাপক দেশের ভেতরেই তৈরি হচ্ছে নানাবিধ এ্যাপ। কিন্তু একটি বিষয় চোখ এড়িয়ে যাচ্ছে সেটা হলো আমাদের কাজের জন্য যে কোন সময়ে ও মুহূর্তে প্রয়োজনীয় এ্যাপ কতটুকু তৈরি হচ্ছে বা আছে। ডিভাইসে এখন যে বিপ্লব আমরা দেখছি তা অবশ্যই উজ্জ্বল করার মতো। কিন্তু ডিভাইসে নিজের পছন্দের মতো উপযোগী করে তোলার মতো সহজ এ্যাপ এখনও গর্ব করার মতো হয়নি। অথবা আমরা বুঝতে পারছি না বা বোঝার লোকের অভাব। নামী-দামী ফোন ও অন্যান্য ডিভাইস ব্যবহার করছি। কিন্তু সেটা যদি ফ্যাশানের হয় তাহলে হুমড়ি খেয়ে পড়ার সম্ভাবনা এক শ’ ভাগ। আর সেই দাবি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠবে, আলোচনা হবে। কাজের কাজ হবে না। আর তখন আবার পিছিয়ে যাব। বেসরকারী উদ্যোগে কাজ হচ্ছে অনেক। কিন্তু সেই কাজকে প্রণোদনা দিতে সরকারকে সহজ হয়ে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু একটি সংস্থা বা ব্যক্তির ওপর সব কাজ দিলে সেটা সিন্ডিকেট হবে। সত্য কথা বলতে কি সচিবলায়ের কোন কাজ কি এখনও পর্যন্ত ডিজিটাল ফর্মুলা হতে পেরেছে। নতুন যুগের সময়ে আমরা প্রবেশ করেছি। তরুণদের হাতের দামী মোবাইলটা যেন কোনভাবেই ফ্যাশানের যন্ত্র না হয়ে ওঠে।
×