ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রঙ্গমঞ্চ থেকে শহীদ টিটু মিলনায়তন

প্রকাশিত: ০৩:৫২, ৪ জুন ২০১৬

রঙ্গমঞ্চ থেকে শহীদ টিটু মিলনায়তন

বগুড়া সাংস্কৃতিক পরিম-লের সূচনা গত শতকের প্রথমে ১৯০৫ সালে। এই ঘূর্ণায়মান মঞ্চ ঠিক কত সালে স্থাপিত, এ নিয়ে মতভেদ আছে। এই ঘূর্ণায়মান মঞ্চে একদা উপমহাদেশ বিশেষ করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতিমান অভিনেতা-অভিনেত্রীরা অভিনয় নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছে। ১৯৪০ থেকে ১৯৫৭ সাল ছিল এই মঞ্চ জ্বলে ওঠার সময়। তখনকার প্রজন্ম নাটকে অসাধারণ বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি করে। প্রাণ প্রাচুর্যে ভরা অভিনেতা-অভিনেত্রীর সমাবেশ ঘটে। প্রদর্শিত হয় বাস্তবভিত্তিক নাটক। যা দর্শক-শ্রোতার হৃদয় কেড়ে নেয়। ঘূর্ণায়মান মঞ্চে যেসব নাটক প্রদর্শিত হয় তার মধ্যে অন্যতম- ছেঁড়াতার, কালিন্দী, দুই পুরুষ, মাটির ঘর, স্ট্রিট বেগার, প্রতাপাদিত্য, টিপু সুলতান, সিরাজউদ্দৌলা, মীর কাশিম ও মিশর কুমারী। এই তথ্য দিয়ে মৃণাল কান্তি সাহা তার প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, সেই স্বর্ণময় যুগের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মধ্যে ছিলেন সুকুমার চৌধুরী, বারীন সেন, সারদা কিঙ্কর মজুমদার, ডা. ননী গোপাল দেবদাস, নটসূর্য আমজাদ হোসেন, মোনায়েম খন্দকার, প্রসাদ বিশ্বাস, হাফিজুর রহমান, মাহফুজুল বারী, আবু মুসা জহুরুল হক, বসন্ত কুমার দত্ত, আহমেদুর রহমান, দবির উদ্দিন আহমেদ, সুব্রত মৈত্র, জাহানারা লাইজু, হোসনে আরা আরজু, শিবানী ভট্টাচার্য ও মমতা চৌধুরী। এডওয়ার্ড মঞ্চে পঞ্চাশ দশকের শেষভাগে সিনেমা হল প্রতিষ্ঠা করা হয়। বগুড়ার তৎকালীন চলচ্চিত্র প্রদর্শক এএম খান এই অবকাঠামোকে সিনেমা হল করার উপযোগী করে মেরিনা টকিজ নাম দেন। তবে নাটক প্রদর্শনের জন্য ভাড়া দিলে ওই দিন সিনেমা বন্ধ থাকে। ১৯৬৩ সালের মধ্যভাগ পর্যন্ত এভাবেই নাটক ও সিনেমা প্রদর্শিত হয়। এরপর মেরিনা টকিজ শহরের সাতমাথার কাছে মোতাহার আলী লেনে স্থানান্তর হলে এডওয়ার্ড মঞ্চ পূর্বাবস্থায় ফিরে যায়। স্বাধীনতার পর কমিউনিটি হলকে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা টিটুর নামে উৎসর্গ করা হয়। বর্তমান নাম শহীদ টিটু মিলনায়তন। -সমুদ্র হক, বগুড়া থেকে
×