ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা

প্রকাশিত: ০৪:২৭, ২ জুন ২০১৬

স্বর্ণ চোরাচালান বন্ধে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা

ওয়াজেদ হীরা ॥ প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিমানবন্দরগুলোতে চোরাইপথে আসা স্বর্ণ আটক হচ্ছে। বিমানবন্দর ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানেও মাঝে মধ্যে স্বর্ণ ধরা পড়ছে। এসব ঘটনায় মামলাও হচ্ছে। তবুও বন্ধ হচ্ছে না স্বর্ণ চোরাচালান। চোরাকারবারিরা প্রায় সকল পন্থাই অবলম্ব করছেন চোরাচালানের ক্ষেত্রে। বিমানের সিটের নিচ, বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ, টয়লেট, রাইস কুকার, যাত্রীর দেহ, পার্সেলসহ বিভিন্ন স্থান থেকেই উদ্ধার হচ্ছে স্বর্ণ। কখনও কখনও যাত্রী নিজেই স্বর্ণ পেটে করে আনছেন। পরবর্তীতে যাত্রী আটক হলে একের পর এক স্বর্ণের ডিম পারানো হচ্ছে! এসব স্বর্ণ সিঙ্গাপুর, দুবাই, হংকং, মালয়েশিয়া ও নেপালসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে আসছে। পরে এসব স্বর্ণ ভারত ও মিয়ানমারসহ বিভিন্ন দেশে পাচার হয়ে যায় বলে অভিযোগ রয়েছে। একের পর এক স্বর্ণের চোরাচালন আটকের পর যেন আরও বেশি সতর্ক হয়ে গেছে শুল্ক গোয়েন্দারাও। জানা গেছে, স্বর্ণ চোরাকারবারিরা বাংলাদেশকে চোরাচালানের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। তবে চোরাকারবারিদের কঠোরভাবে রুখতে চেষ্টা চালাচ্ছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। ইতোমধ্যেই ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রাক বাজেট পর্যালোচনায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে অনেক প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে এই সংস্থা। যার মধ্যে স্বর্ণ চোরাচালান কমানো ও বন্ধ করার জন্য সুনির্দিষ্টভাবে দুটি প্রস্তাবনা পাঠিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। প্রস্তাবনায় বলা হয়েছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে বাজেটে স্বর্ণের আমদানি শুল্ক তিন হাজার টাকা নির্ধারণ করা হয়। এর পূর্বে প্রতি ভরিতে আমদানি শুল্ক ছিল ১৫০ টাকা। বন্দরের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা স্টাফ রিপোর্টার ॥ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সমুদ্র ও নদী বন্দরে ওয়েব বেইজড ওজন মাপার যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে সব বন্দরে ওজনে চুরি ও ফাঁকিবাজি বন্ধ হবে। একই সঙ্গে রাজস্ব আদায়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে মেঘনা ও গোমতী সেতুতে টোল প্লাজা বেইজড মনিটরিংয়ের আওতায় আসায় দৈনিক গড়ে ৮০ লাখ টাকার বেশি টাকা সরকারী রাজস্ব আদায় হচ্ছে। আগে দৈনিক গড় আদায় ছিল ৪০ থেকে ৫০ লাখ। ক্রমান্বয়ে রাজস্ব আদায়ের এ হার আরও বাড়বে বলে প্রকাশ করেন মন্ত্রী। বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে যানবাহনের অতিরিক্ত ওজন নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র এবং মেঘনা ও গোমতী সেতুর ওয়েব বেইজড টোল মনিটরিং সিস্টেমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘দুটি সেতুর টোল প্লাজায় ওয়েব বেইজড মনিটরিংয়ের আগে পুকুরচুরি হতো। মেঘনা ও গোমতী সেতুর টোল প্লাজায় ৬টি করে মোট ১২টি ওয়েস্কেল বসানোর কাজ শেষ পর্যায়ে আছে। এতে নির্ধারিত ওজনের বেশি পণ্য বহনকারী যানবাহনের চলাচল নিয়ন্ত্রিত হবে। ওয়েব বেইজড পদ্ধতিতে টোল আদায়ের জন্য কম্পিউটার সিস্টেমস নেটওয়ার্ক (সিএনএস) লিমিটেডের সঙ্গে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের ৫ বছরের চুক্তি হয়েছে। সিএনএস লিমিটেডকে সার্ভিস চার্জ হিসেবে ১৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ প্রদান করা হবে বলে মন্ত্রী জানান।
×