ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

গরমে পানি পান করতে সাবধানতা এস আই জুয়েল

প্রকাশিত: ০৬:২৫, ৩০ মে ২০১৬

গরমে পানি পান করতে  সাবধানতা এস আই জুয়েল

সময়টা এখন গরমকাল। আর এ সময়ে পানি খেতে গিয়ে বাচ্চারা প্রায়ই বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ যেমনÑ আন্ত্রিক, টাইফয়েড, আমাশয়, ডায়রিয়া কিংবা হেপাটাইটিসে আক্রান্ত হতে পারে। তাছাড়া পানি খাওয়ার ওপরও বাচ্চার বেড়ে ওঠা অনেকটা নির্ভরশীল। একজন পূর্ণ বয়স্ক লোকের পানি খাওয়াতে কোন সীমা না থাকলেও বাচ্চার ক্ষেত্রে কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন। গরম সময়ে বাচ্চা বারবার পিপাসার্ত হয়ে পড়ে। তবে অনেক সময়ই সে পানি খাওয়ার তাগিদ অনুভব করে না। পানির বিকল্প হিসেবে জুস বা আইসক্রিম পছন্দ তার। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এসব পানীয়তে ভেজাল মিশ্রিত থাকায় তা বাচ্চার জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে। রাস্তা ঘাটে চলার সময় আখের রস কিংবা আইসক্রিম দেখে বাচ্চা খাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলেও মাণ বাছাই করে খাওয়াবেন। কেননা, অধিকাংশ সময়ে দেখা যায়, এতে ব্যবহৃত বরফ দূষিত, অপরিশোধিত পানি দিয়ে তৈরি করা হয়। তবে এসময়ে ডাবের পানি বেশ উপকার। এতে খনিজ উপাদান বিদ্যমান যা শরীর কে চাঙ্গা রাখতে সাহায্য করে। সাধারণত নবজাতকদের জšে§র ছয় মাস বুকের দুধ ছাড়া আর কিছুর প্রয়োজন হয় না। ক্ষেত্র বিশেষ বাইরের দুধও দেওয়া যেতে পারে। দুধে পানির পরিমাণ থাকে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ পর্যন্ত। তাই আলাদা করে পানির প্রয়োজন হয় না। তাই পানি খাওয়ালে শিশুটির পেট ভরে যাওয়ার জন্য খিদে কমে যাবে, দুধ কম খাবে। এতে শিশুটির পুষ্টির অভাব দেখা দিতে পারে। ছ’মাস পরে শিশুকে আস্তে আস্তে শক্ত খাবারে অভ্যস্ত করার পাশাপাশি ২-৪ চামচ করে ফোটানো বিশুদ্ধ পানি খাওয়ানো উচিত। পানিতে নানা ধরনের জীবাণু থাকে। তাই যতটা সম্ভব পানি বিশুদ্ধ করে নিতে হবে। পানি নিয়ম করে খাওয়ানো যায় না। বয়স অনুযায়ী, ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে পানির চাহিদারও তারতম্য ঘটে। তবে মোটামুটি বলা যায়, শিশুর ওজন দশ কেজি হলে দিনে এক লিটার পর্যন্ত জলীয় পদার্থের প্রয়োজন। ১৫ কেজি হলে শিশুর দরকার দেড় কেজি জলীয় পদার্থ। মোটামুটি কেজি প্রতি ২০ মিলিলিটার জলীয় জিনিসের দরকার হয়। তবে এই পানির চাহিদানির্ভর করে শরীর থেকে জলীয় পদার্থে কি হারে বের হয়ে যাচ্ছে তার উপরে। ডায়রিয়াজনিত রোগে শিশুর দেহ থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। তখন শিশুকে বেশি করে পানি খাওয়ানো প্রয়োজন। একইভাবে প্রস্রাবের সাথে (ডায়াবেটিস বা অন্যান্য সমস্যায়) প্রচুর পানি বেরিয়ে যেতে পারে, তাছাড়া গরম কিংবা বেশি দৌড়াদৌড়িতেও প্রচুর পানি বেরিয়ে যায়। তাই শিশুর ওজন অনযায়ী পানি খাওয়ালেও এ দিকটা অবশ্যই মাথায় রাখা উচিত। তবে শিশুকে কখনই জোর করে পানি খাওয়াবেন না। আমাদের শরীরের মস্তিষ্ক, কিডনি শিরা-ধমনী পারস্পরিক বোঝাপড়ায় কাজ করে। গরমে ঘামের মাধ্যমে শরীরের পানি বেরিয়ে যায়। তখন থার্স্ট সেন্টার বেশি করে পানি খাওয়ার নির্দেশ দেয়। কিডনির কাছে পানি ধরে রাখার নির্দেশ দেয়। ফলে মূত্রের পরিমাণ কমে যায়। একইভাবে বর্ষা কিংবা শীতের সময় শরীরে পানির চাহিদা কমে যায়। তাই শিশুরা কম পানি খায়। তবে শিশুর পানি খাওয়াটা জোরাজুরি না করে তাদের ওপরেই ছেড়ে দেওয়া ভাল। তবে বাচ্চারা যেহেতু নিজের শরীররের ভালটা কম বুঝে তাই পিছন থেকে পানি খাবার ব্যাপারে নজরদারি রাখতে পারেন। মডেল : মিম ও তাহসিন
×