ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

৩শ’ বিঘা জমির সেচ ব্যাহত

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ১৮ মার্চ ২০১৬

৩শ’ বিঘা জমির সেচ ব্যাহত

নিজস্ব সংবাদদাতা, জয়পুরহাট, ১৭ মার্চ ॥ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পার্টিসিপেশন গভীর নলকূপ চালু না করায় জয়পুরহাটের কালাইয়ে চলতি মৌসুমে ৩শ’ বিঘা জমির বোরো সেচ কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। জানা গেছে, উপজেলার বুড়ইল চাকলমুয়া মৌজায় ১৯৭২-৭৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) ভাড়াভিত্তিক গভীর নলকূপ স্থাপন করে। বিএডিসির স্থাপিত গভীর নলকূপ দীর্ঘদিন ধরে কৃষকদের জমিতে সেচ কার্যক্রম পরিচালনা করে। গত মৌসুমে বিএমডিএ কর্তৃপক্ষ কৃষকদের ভুল তথ্য দিয়ে বিএডিসির গভীর নলকূপ উত্তোলন করার শর্তে বিএমডিএ আধুনিক প্রযুক্তির সাব-মারসিবল পাম্পসংবলিত পার্টিসিপেশন গভীর নলকূপ স্থাপনে উদ্বুদ্ধ করা হয়। কৃষকরা চলতি মৌসুম শুরুর আগেই বিএমডিএর কালাই জোনের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে পার্টিসিপেশন ফি বাবদ এক লাখ টাকা জমা দিয়ে বিএডিসির গভীর নলকূপ উত্তোলন করে এবং একই স্থানে বিএমডিএর পার্টিসিপেশন গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে মৌসুমের প্রায় দু’মাস অতিবাহিত হলেও ওই গভীর নলকূপটি চালু হয়নি। এতে প্রায় ৩শ’ বিঘা জমির ইরি-বোরো সেচ কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এ ব্যাপারে বুড়ইল চাকলমুয়া মৌজার বিএমডিএর গভীর নলকূপের অপারেটর শাহজাহান আলী জানান, বিএডিসির গভীর নলকূপ উত্তোলনের পর ওই স্থানে বিএমডিএর গভীর নলকূপ খনন এবং ঘর-দরজা, আন্ডারগ্রাউন্ড পাইপলাইন নির্মাণ করা হলেও কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে আজও গভীর নলকূপটি চালু করা হয়নি। নাটোরে মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীর অবসরভাতা নিয়ে টালবাহানা নিজস্ব সংবাদদাতা, নাটোর, ১৭ মার্চ ॥ বাগাতিপাড়ার নুরপুর মালঞ্চি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অবসর গ্রহণের এক বছর পেরিয়ে গেলেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগ করেছেন বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষিকা ও মুক্তিযোদ্ধাপতœী হামিদা বেগম। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে না পাওয়ায় অবসরভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে তিনি মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নুরপুর মালঞ্চি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষিকা মুক্তিযোদ্ধার সহধর্মিণী হামিদা বেগম নিষ্ঠার সাথে দীর্ঘ ৩৭ বছর শিক্ষকতা করেন। তিনি ২০১৫ সালের ১১ মার্চ অবসর গ্রহণ করেন। কিন্তু অবসর গ্রহণের এক বছর পেরিয়ে গেলেও প্রধান শিক্ষক মাহবুব হোসেন অবসর ও কল্যাণভাতা উত্তোলনের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দিতে নানা টালবাহানা করে আসছেন বলে অভিযোগ করেন ওই শিক্ষিকা। প্রতিকার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী, জেলা প্রশাসক, জেলা শিক্ষা অফিসার ও বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন শিক্ষিকা হামিদা বেগম। এতে প্রধান শিক্ষক মাহবুব হোসেন তার ওপর আরও চড়াও হন। তিনি আরও অভিযোগ করেন, তিনি চাকরিতে বহাল থাকাকালে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি শূন্য হয়ে যায়। পরবর্তীতে তিনি বিধিসম্মতভাবে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদে গৃহীত পরীক্ষায় প্রথমস্থান অধিকার সত্ত্বেও ডিজি প্রতিনিধির সিল ও স্বাক্ষর ব্যতীত বিনা রেজুলেশনে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জামিলুর রহমান বাবু গায়ের জোরে তৃতীয়স্থান অধিকারী জিগরী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহবুব হোসেনকে নিয়োগ দেন। পরে এর প্রতিকার চেয়ে শিক্ষা অধিদফতরে অভিযোগ ও আদালতে মামলা দায়ের করেন হামিদা বেগম। মামলায় ডিক্রি ও ডিজি প্রতিনিধির অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও ওই প্রধান শিক্ষকের এমপিও হয়েছে বলে লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। অভিযোগে বলা হয়, আদালতে মামলা ও উর্ধতন বিভিন্ন অফিসে করা অভিযোগ তুলে না নেয়া পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক মাহবুব হোসেন অবসর গ্রহণের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেবেন না। অবসরের কাগজপত্র যোগাড় করতে বিভিন্ন দফতরে ছুটোছুটি করতে করতে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন উল্লেখ করে হামিদা বেগম জানান, মামলা তুলে নেয়াসহ প্রধান শিক্ষকের সকল শর্ত মেনে নেবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা কোন কাজে আসেনি। এদিকে কল্যাণ ও বেতন-ভাতা না পাওয়ায় অসুস্থ স্বামী মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছাত্তারের চিকিৎসাসহ আনুষঙ্গিক ব্যয় সুষ্ঠুভাবে নির্বাহ করতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার ফরহাদ আহমদ জানান, এ ব্যাপারে সরেজমিন গিয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুব হোসেন ও হামিদা বেগমের মধ্যে অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব, মনোমালিন্য খুঁজে পাওয়ায় নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে নেয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছি। এ ব্যাপারে নুরপুর মালঞ্চি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুব হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, হামিদা বেগমকে অবসর গ্রহণের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদানের জন্য বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অল্পদিনের মধ্যেই তাকে কাগজপত্র প্রদানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জামিলুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এ ব্যাপারে কেউ আমাকে অবহিত করেননি।
×