ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

মামলা বাতিলে হাইকোর্টে খালেদা

প্রকাশিত: ০৫:৪২, ১০ মার্চ ২০১৬

মামলা বাতিলে হাইকোর্টে খালেদা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিচারের শেষ পর্যায়ে থাকা জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার নিয়োগ নিয়ে আপত্তি তুলে মামলা বাতিলের জন্য হাইকোর্টে গেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। তার আইনজীবী মাহবুব উদ্দীন খোকন বুধবার সুপ্রীমকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন জমা দেন। অন্যদিকে সাংবাদিকদের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা এক মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। সব মামলায় জামিন পাওয়ায় কারাগার থেকে মুক্তি পেতে আর বাধা রইল না তার। জিয়া দাতব্য ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার তদন্ত কর্মকর্তার নিয়োগ নিয়ে আপত্তি তুলে মামলা বাতিলের জন্য রিট দায়ের করা হয়েছে। ছয় বছর আগে দায়ের করা এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদের নিয়োগে দুদক আইনের ২০ (১) ধারা অনুযায়ী নিয়ম অনুসরণ করা হয়নি দাবি করে মামলার কার্যক্রম বাতিল চাওয়া হয়েছে খালেদার এই আবেদনে। মাহবুব উদ্দীন খোকন বলেন, আজই একটি বেঞ্চে এই আবেদন উপস্থাপন করা হতে পারে। জিয়া দাতব্য ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট এ মামলা করে দুদক। তেজগাঁও থানার এ মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার করে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা আত্মসাত করার অভিযোগ আনা হয় আসামিদের বিরুদ্ধে। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ। এরপর ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে তাদের বিচার শুরু হয়। ঢাকার তিন নম্বর বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের আদালতে মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ পর্যায়ে। মামলার ৩২তম ও শেষ সাক্ষী হারুন অর রশিদের জবানবন্দী গ্রহণ শেষে তাকে জেরা করছে আসামিপক্ষ। বৃহস্পতিবার তার অসমাপ্ত জেরার দিন ধার্য রয়েছে। আব্বাসের জামিন ॥ সাংবাদিকদের প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগে শাহবাগ থানায় দায়ের করা এক মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী মির্জা আব্বাসের জামিন মঞ্জুর করেছে হাইকোর্ট। সব মামলায় জামিন পাওয়ায় কারাগার থেকে মুক্তি পেতে আর বাধা রইল না তার। বুধবার হাইকোর্টের বিচারপতি রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি মাহমুদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। বুধবার আদালতে মির্জা আব্বাসের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন। অপরদিকে, দুদকের পক্ষে শুনানি করেন এ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান। সগীর হোসেন লিয়ন জানান, মির্জা আব্বাসের জামিনের মেয়াদ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষ না হওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
×