ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

তৌফিক অপু

দৃঢ় প্রত্যয়ে নারী

প্রকাশিত: ০৩:৪৮, ৪ মার্চ ২০১৬

দৃঢ় প্রত্যয়ে নারী

বাংলায় একটি প্রবাদ বহুল প্রচলিত, যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। সত্যিকার অর্থেই এ যুগের নারীরা রাঁধতে যেমন জানে ঠিক তেমনি বৈশ্বয়িক কাজেও সফলতার স্বাক্ষর রাখছে। ঘরে বাইরে সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছে তারা। শিক্ষায়-দীক্ষায় নারীর এগিয়ে যাওয়া চোখে পড়ার মতো। কর্মস্থলে দৃঢ়তার স্বাক্ষর রেখে যাচ্ছে এ যুগের নারীরা। যার ফলে কর্পোরেট সেক্টরের শীর্ষস্থানীয় অনেক আসন আজ নারীদের দখলে। যোগ্যতার পরিচয় দিয়েই এ আসনে অসীন হয়েছে। নিঃসন্দেহে একটি জাতির জন্য ইতিবাচক একটি দিক। বাংলাদেশে নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে যে বাস্তবিকই কার্যকর অগ্রগতি হয়েছেÑ তার স্বীকৃতি এখন পাওয়া যাচ্ছে। এখানে স্কুলে মেয়েদের উল্লেখযোগ্য উপস্থিতি অনেকেরই প্রশংসা অর্জন করেছে। সম্প্রতি ভারতের নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বলেছেন, ‘বাংলাদেশ বিশ্বে একমাত্র দেশ যেখানে ছেলেদের তুলনায় স্কুলে মেয়েদের উপস্থিতির হার বেশি। বাস্তবিকই নানা সমস্যায় জর্জরিত বাংলাদেশে গত দু’তিন দশক ধরে অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও কিছু ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে; এর মধ্যে অন্যতম হলো নারী উন্নয়ন। অনেক উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় এখানে মাতৃমৃত্যুর হার যথেষ্ট কম। একই সঙ্গে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। ১৯৪৮ সালের মানবাধিকার সনদে নারীর অধিকার অর্জনের প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়। জাতিসংঘ নারীর অধিকার নিশ্চিত করার জন্য আন্তর্জাতিক নারী বর্ষ পালন, নারী দশক ঘোষণা, বিশ্ব নারী সম্মেলন, সিডও সনদসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। আবার বিভিন্ন দেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও নারীদের সমমর্যাদায় আসীন করার জন্য বিভিন্ন রকম নীতিমালাও প্রণয়ন করা হয়। এর ফলে নারীরা দাস, সামন্ত ও পুঁজিবাদী সমাজ ব্যবস্থা থেকে ভাল অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বজুড়ে নারীর ক্ষমতায়নের জোয়ার বইয়ে দেয়ার কথা সুধীজনেরা বললেও বাস্তবিক কিছু মতপার্থক্য রয়েছে। যেমন নারীনির্যাতন ভিন্নরূপ পরিগ্রহ করছে। এখন হয়ত নারীরা গৃহবন্দী, অবরোধবাসিনী হয়ে থাকছে না, এখন হয়ত নারী শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে, কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের সুযোগ পাচ্ছে, কিছু নাগরিক অধিকার আদায় করতে পারছে। চারদিকে আজ নারীর জয়গান। তাদের পদচারণায় মুখর চারদিক। ক্যাম্পাস, অফিস, ব্যবসা বাণিজ্য সব জায়গাতেই নারীর উজ্জ্বল উপস্থিতি। আর এ বিষয়গুলো প্রভাব ফেলছে ফ্যাশন হাউসগুলোতে। কারণ নারীর প্রতিটি পথ চলায় তারা নির্ধারণ করে ফেলছে পোশাকগুলো। কেমন হবে অফিসিয়াল প্শোাক, পার্টি কিংবা ক্যাম্পাস পোশাকই বা কেমন হওয়া উচিত সে নিয়ে রীতিমতো গবেষণা করা হচ্ছে। ভেরিয়েশন আসছে ডিজাইন এবং ফেব্রিকে। প্যাটার্নেও দেখতে পাওয়া যাচ্ছে ভিন্নতা। শুধু একটি দিবস নয় সারা বছরই যেন নারীর প্রতি সম্মান বজায় থাকে এ নিয়ে এবারের প্রতিপাদ্য। ফ্যাশন হাউসগুলোও শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, কুর্তি কিংবা টপসে শোভা পাচ্ছে নারী দিবসের ছোঁয়া। দামও হাতের নাগালে। প্রায় সবগুলো ফ্যাশন হাউসেই নারী দিবসের কেনাকাটায় থাকছে বিশেষ ছাড়। মডেল : মুনমুন আহমেদ পোশাক : রঙ বাংলাদেশ মেকআপ : পারসোনা ছবি : সাগর কৃতজ্ঞতা : চারুলতা কুঠির
×