ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভ্যাটে আয়কর একীভূত করার প্রস্তাব

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ৩ মার্চ ২০১৬

ভ্যাটে আয়কর একীভূত করার প্রস্তাব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ মূল্য সংযোজক করের (ভ্যাট) মধ্যে আয়কর (ইনকাম ট্যাক্স) একীভূত করা যায় কি না- বিবেচনা করতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদ। বুধবার রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে ‘ভ্যাট ই-পেমেন্ট, ইনটিগ্রেশন ইউথ আইবিএএস এ্যান্ড আদার কমার্শিয়াল ব্যাংক’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ প্রস্তাব দেন। এ সময় মাহবুব আহমেদ বলেন, ১৯৯১ সালে যখন ভ্যাট প্রবর্তন করা হলো, তখন এটি নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করেছিল। কিন্তু সব সমালোচনা কাটিয়ে এটি এখন সরকারের রাজস্ব আহরণের বড় মাধ্যম হয়েছে। অনলাইন ভ্যাট পদ্ধতিও একটি সফল সেবা হবে। এর মাধ্যমে রাজস্ব আহরণের গতি আরও বৃদ্ধি পাবে। অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব বলেন, অনেক সময় অভিযোগ পাওয়া যায়, কর আদায়ে হয়রানির শিকার হন ব্যবসায়ীরা। অনলাইনে ভ্যাট হিসাবের ক্ষেত্রে যেন কোন ধরনের পার্থক্য দেখা না দেয়, সেদিকে নজর দিতে হবে। মাহবুব আহমেদ বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ গড়তে হলে আমাদের গ্রোথ বাড়তে হবে। এর জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। তবে চাহিদা অনুযায়ী বেসরকারী বিনিয়োগ পাচ্ছি না আমরা। তাই সরকারী বিনিয়োগ বাড়াতে হচ্ছে। এজন্য এনবিআরের মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ সম্পদের আহরণ বৃদ্ধি করা দরকার। এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এম. আসলাম আলম প্রমুখ। বিদেশী নাগরিকদের করের আওতায় আনতে টাস্কফোর্স অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশে কর্মরত বিদেশী নাগরিকদের করের আওতায় আনা এবং কর খেলাপি বিদেশী নাগরিক ও তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আয়কর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে সমন্বিত টাস্কফোর্স গঠন করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আয়কর আইন অনুযায়ী বিদেশী নাগরিকদের ওপর প্রযোজ্য কর সংগ্রহ কার্যক্রম মনিটরিং এবং প্রয়োজনে তাদের ও তাদের নিয়োগকর্তার ওপর জরিমানা ও ফৌজদারি কার্যক্রম সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এই টাস্কফোর্স গঠন করছে এনবিআর। গত মঙ্গলবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য, এফবিসিসিআইয়ের প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের উর্ধতন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সভায় জানানো হয়, বাংলাদেশে প্রকৌশল, চিকিৎসা, গার্মেন্টস, মার্চেন্ডাইজিং, শিল্প-কলকারখানা ইত্যাদি খাতে নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের প্রয়োজনে বিদেশী পরামর্শকসহ দক্ষ কারিগরি জ্ঞানসম্পন্ন বিদেশী নাগরিকগণ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করছে। অভিযোগ রয়েছে, অবৈধভাবে অনেক বিদেশী কর্মী বাংলাদেশে কাজ করছেন এবং অনেক বিদেশী নাগরিক স্বল্প সময়ের জন্য কাজ করে বিপুল পারিতোষিক গ্রহণপূর্বক কোন আয়কর প্রদান ব্যতিরেকেই বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। এমতাবস্থায়, বৈধ এবং অবৈধ উভয় প্রকৃতির নাগরিকদের এবং তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের ওপর প্রযোজ্য ক্ষেত্রে আয়কর কার্যক্রম মনিটরিং অত্যন্ত জরুরী। সভায় সমন্বিত টাস্কফোর্স গঠন, বিদেশী নাগরিকদের কর সংক্রান্ত একটি ডাটা ব্যাংক তৈরিসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
×