ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেন বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেন বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পুঁজিবাজারে সূচকের পতনের পরদিনই উর্ধমুখী প্রবণতায় ফিরেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বস্ত্রখাতের শেয়ারের চাহিদা বাড়ার দিনে বুধবারে লেনদেন বেড়েছে ২ দশমিক ৩০ শতাংশ। এইদিন ডিএসইতে ৪৭১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। প্রসঙ্গত, বড় মূলধনী কিছু কোম্পানির দর কমায় মঙ্গলবার ডিএসইতে সূচক পতনে লেনদেন হয়। গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত টানা পাঁচ দিন ডিএসইর লেনদেনে ইতিবাচক ধারা বজায় থাকার পর মঙ্গলবারে সূচকের পতন হয়। আর তার মাত্র একদিন পরই উত্থানে ফিরেছে পুঁজিবাজার। অন্যদিকে অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) লেনদেন হয়েছে সূচকের ইতিবাচক ধারায়। এদিন এ স্টক এক্সচেঞ্জে ৩০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এইদিন দুই স্টক এক্সচেঞ্জের লেনদেন আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, বুধবার ডিএসইতে আগের দিনের তুলনায় ১০ কোটি টাকা বেশি লেনদেন হয়েছে। আগের দিন এ বাজারে লেনদেন হয়েছিল ৪৬০ কোটি ৮১ লাখ টাকার শেয়ার। ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয় ৩২৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৫০টির, কমেছে ১২৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫২টির শেয়ার দর। আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্টের বাজার পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, সকালে ইতিবাচক প্রবণতা দিয়ে শুরুর পর থেকে কিছুটা মুনাফা তোলার প্রবণতা দেখা গেছে। ছোট মূলধনী কোম্পানির দর বেড়েছে দশমিক ৬০ শতাংশ এবং মাঝারি মূলধনী কোম্পানিগুলোর দর বেড়েছে দশমিক ৪০ শতাংশ করে। সারাদিনের ওঠানামা শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচকটি দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৫৮০ পয়েন্ট। দিনটিতে প্রকৌশল এবং জ্বালানি ও শক্তি খাতটি মোট লেনদেনের ১৭ দশমিক ৩০ শতাংশ এবং ১৫ দশমিক ৭০ শতাংশ দখল করেছে। তবে খাতভিত্তিক লেনদেনের দরবৃদ্ধির তালিকায় রয়েছে সিরামিক খাতটি। সারাদিনে খাতটির ৪ দশমিক ৫ শতাংশ করে দর বেড়েছে। এককভাবে আরএকে সিরামিকের দর বেড়েছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ করে। দিনটিতে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ১ দশমিক ২ শতাংশ করে দর কমেছে। সকালে ইতিবাচক প্রবণতার পর ডিএসইএক্স বা প্রধান মূল্যসূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৫৮০ পয়েন্টে অবস্থান করছে। ডিএসইএস বা শরীয়াহ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে এক হাজার ১২০ পয়েন্টে। ডিএস৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৭৫৯ পয়েন্টে। ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে থাকা দশ কোম্পানি হলো- ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি, বাংলাদেশ স্টিল রি- রোলিং মিলস লিমিটেড, সামিট পাওয়ার লিমিটেড, শাশা ডেনিমস, আমান ফিড, স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো ফার্মা, কাশেম ড্রাইসেলস, এমারেল্ড অয়েল এবং খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। বুধবারে প্রধান বাজারে সূচক বাড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়ে অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও সব ধরনের সূচকই বেড়েছে। সেখানকার সার্বিক সূচক বা সিএসইএক্স ৩২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ১৬৭ পয়েন্টে। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২৫১টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের শেয়ার। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, কমেছে ৯০টি এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টির। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, এএফসি এ্যাগ্রো, বিএসআরএম লিমিটেড, জিপিএইচ ইস্পাত, রিজেন্ট টেক্সটাইল, আমান ফিড, সামিট পাওয়ার, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, এমারেল্ড ওয়েল এবং খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড।
×