অনলাইন ডেস্ক ॥ সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের হঠাৎ করে মস্কো সফর করেছেন। আর এসফরকে ঘিরে বিশ্ব রাজনীতিতে সৃষ্টি হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা। দুশ্চিন্তায় পড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। একদিনের এ ঝটিকা সফরের ব্যাপারে এরই মধ্যে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ।
মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) মস্কো সফর করেন বাশার আল-আসাদ। প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পরদিন, বুধবার (২১ অক্টোবর) স্থানীয় সময় সকালেই তিনি দামেস্কে ফিরে যান।
সাক্ষাতে তার দেশে সন্ত্রাসের সংক্রমণ বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ায় পুতিনকে ধন্যবাদ জানান বাশার। ২০১১ সালে সিরিয়ায় সংঘাত শুরুর পর এই প্রথম তিনি বিদেশ সফর করলেন।
তবে তার এ সফরকে সহজভাবে নেয়নি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দামেস্কে ফিরে যাওয়ার পরই তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দেয় হোয়াইট হাউজ।
হোয়াইট হাউজ মুখপাত্র এরিক শুলজ সাংবাদিকদের বলেন, আমরা আসাদের জন্য লালগালিচা সংবর্ধনা দেখলাম, যে কি না নিজের জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। রাশিয়া সিরিয়াতে যে লক্ষ্য অর্জনের কথাগুলো বলেছিল, সেগুলোর সঙ্গে কিছুতেই এ ঘটনাকে মেলানো যায় না।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাশারের এ সফর তাদের অবাক করেনি। যুক্তরাষ্ট্রের মূল চিন্তার বিষয়, শেষে না মস্কোর পদক্ষেপের কারণে সিরিয়া যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত হয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এ ইস্যুটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদেশগুলোর মাথাব্যাথার অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ, সংঘাত শুরুর পর এই প্রথম বাশার দামেস্ক ত্যাগ করা নিরাপদ মনে করেছেন, যা দেশটিতে পশ্চিমা উদ্দেশ্য ব্যহত হওয়ার পূর্বাভাস বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে, সিরিয়ার সরকারের প্রতি রাশিয়ার যে আস্থা রয়েছে, সেটাও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এতে। ফলে বাশারের গোড়া আগের চেয়ে আরও শক্ত হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: