ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ছাত্রদল কর্মীর হাতে ছাত্রলীগ নেতার আঙ্গুল কর্তন

প্রকাশিত: ০৪:০২, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৫

ছাত্রদল কর্মীর হাতে ছাত্রলীগ নেতার আঙ্গুল কর্তন

নিজস্ব সংবাদদাতা, লক্ষ্মীপুর, ২৮ সেপ্টেম্বর ॥ পারভেজ আলম (২২) নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে হাতের তিনটি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে ছাত্রদলের কর্মীরা। সদর উপজেলার চরমনসা গ্রামে ররিবার রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পারভেজ উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের স্থানীয় চরমনসা গ্রামের ৬নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। রাতে কেরাম খেলাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে লিটন নামে একজন ছাত্রদল কর্মী তাকে ধারালো অস্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এতে তার ডান হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলীসহ পাশের তিনটি আঙ্গুল হাত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যায়। অপরদিকে একই দিন রাতে সদর উপজেলার চরপার্বতীনগর গ্রামে স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি মামুন হোসেনকে সন্ত্রাসীরা পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এ সময় তার বোন পান্না আক্তারকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়েছে। সদর উপজেলায় ভাতিজী কিশোরীসহ তিনজনকে পিটিয়ে আহত করেছে চাচা। এরা হচ্ছে, সুফিয়া আক্তার সুমি (১৭), তার বোন রুমি ১৫) এবং তাদের পিতা শহীদ হোসেন (৪৫)। একটি সামান্য ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে সবুজ ও রহিম নিজ বড় ভাই সহিদ হোসেন এবং তার দুই কিশোরী মেয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করে। নাটোরে মোবাইল প্রেমের বিয়ে আত্মহত্যায় শেষ সংবাদদাতা, নাটোর, ২৮ সেপ্টেম্বর ॥ জেলার বড়াইগ্রামে মোবাইলে প্রেম ও বিয়ের পর স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ির নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে রবিবার সন্ধ্যায় লাবনী খাতুন (২১) নামে গৃহবধূর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেয়ার অভিযোগ স্বামীসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হলো লাবনীর স্বামী উপজেলার আটুয়া গ্রামের নওশেদ আলীর ছেলে নাজমুল ইসলাম, শ্বশুর নওশেদ আলী, শাশুড়ি কহিনুর বেগম ও ননদ নাজমা খাতুন। পুলিশ জানায়, প্রায় বছর তিনেক আগে জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার পেড়াবাড়িয়া গ্রামের কামিরুল ইসলামের মেয়ে লাবনীর সঙ্গে মোবাইলে নাজমুল ইসলামের পরিচয় ও প্রেম হয়। কিছুদিন পর তারা বিয়ে করে। এসব ঘটনায় নাজমুল ও তার বাবা-মা মাঝে মধ্যেই লাবনীকে মারধর করত। রবিবার সন্ধ্যায় নাজমুল মোবাইলে অন্য মেয়ের সঙ্গে কথা বললে লাবনী তাতে বাধা দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে নাজমুল তাকে আবারও মারধর করে। পরে শ্বশুর-শাশুড়িও তাকে গালমন্দ করে। এতে মনের দুঃখে লাবনী বিষপান করে।
×