ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেন কমলো

প্রকাশিত: ০৬:০৯, ৩০ আগস্ট ২০১৫

পুঁজিবাজারে সূচকের সঙ্গে লেনদেন কমলো

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দেশের পুঁজিবাজারে সূচকের নেতিবাচক প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। আগের ধারাবাহিকতায় প্রতিনিয়তই কমছে সূচক ও লেনদেন। প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া পাঁচ কার্যদিবসের দুই কার্যদিবস বাড়লেও অবশিষ্ট তিন কার্যদিবসই কমেছে সূচক। এর ফলে সপ্তাহের ব্যবধানে লেনদেনের পাশাপাশি কমেছে বাজার মূলধনের পরিমাণ। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা গেছে, সপ্তাহ শেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক কমেছে ০.৫৬ শতাংশ বা ২৭.৩৪ পয়েন্ট, ডিএসই শরিয়াহ সূচক কমেছে ০.৩৬ শতাংশ বা ৪.২৪ পয়েন্ট এবং ডিএসই৩০ সূচক কমেছে ০.৫৪ শতাংশ বা ১০.০৬ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে লেনদেন হওয়া ৩২৬টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৫টির, কমেছে ১৮০টির, দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির এবং লেনদেন হয়নি ২টির। আর টাকার অঙ্কে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ১৭৬ কোটি ৯৭ লাখ ৩১ হাজার ৩৫ টাকা। আগের সপ্তাহের চেয়ে গত সপ্তাহে মোট লেনদেন কমেছে ২২ দশমিক ৭৯ শতাংশ। গত সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ হাজার ১৭৯ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে ওই লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৮১৯ কোটি টাকা। আলোচিত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৫৬ কোটি ৫ লাখ ৯২ হাজার ৬৩৩টি। আগের সপ্তাহে যার পরিমাণ ছিল ৭২ কোটি ২০ লাখ ৯৮ হাজার ১১টি। সেই হিসেবে ডিএসইতে গত সপ্তাহে শেয়ার লেনদেন কমেছে ২২.৩৭ শতাংশ। এদিকে গত সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ বেড়েছে। সপ্তাহ শেষে ডিএসইর বাজার মূলধনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৩৬ হাজার ৯৯৯ কোটি ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫১১ টাকা। আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৩১৯ কোটি ৮৭ লাখ ৭ হাজার ৭১৩ টাকা। সে হিসবে আলোচিত সপ্তাহ বাজার মূলধন কমেছে ০.১০ শতাংশ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ‘এ’ ক্যাটাগরির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৯৪.৩০ শতাংশ, ‘বি’ ক্যাটাগরির ২.১৬ শতাংশ, ‘এন’ ক্যাটাগরির ২.৭৩ শতাংশ এবং ‘জেড’ ক্যাটাগরির ০.৮১ শতাংশ। অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) দশমিক ১০ শতাংশ বা দশমিক ০১ পয়েন্ট কমেছে। ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, এ সপ্তাহে ডিএসইতে পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৬ দশমিক ৬১ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহে এই পিই রেশিও ছিল ১৬ দশমিক ৬২ পয়েন্ট। বিশ্লেষকদের মতে, পিই রেশিও যতদিন ১৫ এর ঘরে থাকে ততদিন বিনিয়োগ নিরাপদ। সপ্তাহ শেষে খাতভিত্তিক ট্রেইলিং পিই রেশিও বিশ্লেষণে দেখা যায়, ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৬ দশমিক ৬ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৬ দশমিক ৫ পয়েন্ট, সিরামিক খাতের ৩৯ দশমিক ৫ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ৩০ দশমিক ৫ পয়েন্ট, খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের ৩১ দশমিক ৫ পয়েন্ট, জ্বালানি ও বিদ্যুত খাতে ১৩ দশমিক ৬ পয়েন্ট, সাধারণ বীমা খাতে ১১ পয়েন্টে, তথ্য ও প্রযুক্তি খাতের ১৮ দশমিক ৬ পয়েন্টে, পাট খাতের মাইনাস ২৭ দশমিক ৭ পয়েন্ট, বিবিধ খাতের ৩৩ দশমিক ১ পয়েন্ট, এনবিএফআই খাতের ১৯ দশমিক ২ পয়েন্টে, কাগজ খাতের ১২ দশমিক ৮ পয়েন্ট, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ২২ দশমিক ২ পয়েন্ট, সেবা ও আবাসন খাতের ৩১ পয়েন্ট, চামড়া খাতের ২৮ পয়েন্ট, টেলিযোগাযোগ খাতে ২২ দশমিক ৮ পয়েন্ট, বস্ত্র খাতের ১৩ দশমিক ৫ পয়েন্ট এবং ভ্রমণ ও অবকাশ খাতে ১৬ দশমিক ৪ পয়েন্টে অবস্থান করছে। সাপ্তাহিক লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : স্কয়ার ফার্মা, শাহজিবাজার পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন এ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, এ্যাপেক্স ট্যানারি, ফার কেমিক্যাল, গ্রামীণফোন, আলহাজ টেক্সটাইল ও বারাকা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। দরবৃদ্ধির সেরা কোম্পানিগুলো হলো : স্ট্যান্ডার্ড সিরামিক, ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, ৪র্থ আইসিবি, ন্যাশনাল ফিড মিলস লিমিটেড, ন্যাশনাল হাউজিং এ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড, এ্যামবে ফার্মা, ৩য় আইসিবি, বার্জার পেইন্টস ও প্রাইম ব্যাংক ১ম মিউচুয়াল ফান্ড। দর হারানোর সেরা কোম্পানিগুলো হলো : নর্দার্ন জুটস, অলটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ, কে এ্যান্ড কিউ, এ্যাপেক্স স্পিনিং, প্রগতি লাইফ, সি এ্যান্ড এ টেক্সটাইল, বিডি ওয়েল্ডিং, পিপলস লিজিং এ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড, বিএসআরএম লিমিটেড ও আরএসআরএম লিমিটেড।
×