রাজু মোস্তাফিজ, কুড়িগ্রাম ॥ প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের এটুআই প্রকল্পের নেয়া উদ্যোগ দাশিয়ারছড়ায় ভেস্তে যেতে বসেছে। সদ্য বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীদের উন্নয়নের স্রোতধারায় আনতে সরকারের এই উদ্যোগ শুরুতেই মুখথুবড়ে পড়েছে। এমনটি হয়েছে অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির কারণে। জাকির ও তানিয়া নামে দুজন উদ্যোক্তাকে নিয়োগ দেয়া হয় দাশিয়ারছড়া তথ্য সাবসেন্টারে। কিন্তু তাদের কম্পিউটার কিংবা আইটি সম্পর্কে নেই কোন স্বচ্ছ ধারণা। ফলে তিন দিন থেকে এ তথ্য সেবা কেন্দ্রে ঝুলছে তালা। তথ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকাবাসী।
কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলা সদরের অভ্যন্তরে অবস্থিত বিলুপ্ত ছিটমহল দাশিয়ারছড়ায় ডিজিটাল সাব-সেন্টার উদ্বোধন করা হয় শুক্রবার বিকালে। উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) কবির বিন আনোয়ার (প্রকল্প পরিচালক, একসেস টু ইনফরমেশন প্রকল্প)। ঢাক-ঢোল পিটে এ সাব-সেন্টার উদ্বোধন করা হলেও তা ছিটমহলবাসীর কাজে আসছে না। কারণ উদ্বোধনের পর পরই ঝুলিয়ে দেয়া হয় তালা। শনিবার সারাদিন ছিল তালাবদ্ধ। রবিবার বিকাল ৩টায় খোলা হয় তালা কিছু সময়ের জন্য। এরপর আবারও তালা। ফলে তথ্য সেবা কেন্দ্র থেকে সেবা মেলেনি। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় তালা খুললে এ প্রতিবেদক মুখোমুখি হয় উদ্যোক্তা জাকির হোসেনের। কম্পিউটার চালানো, ইন্টারনেট চালু কিংবা ডকুমেন্ট প্রিন্ট করা কোন কাজই সে জানে না।
তিনি জানান আমি কিছু এখনও শিখিনি। অপর উদ্যোক্তা তানিয়া অনুপস্থিত। জাকিরের ভাবী আরজিনা আক্তার তানিয়াও এ ব্যাপারে আনাড়ি হওয়ায় তথ্য সেবা কেন্দ্রের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। দাশিয়ারছড়ার কালিরহাট এলাকার ইদ্রিস আলীর পুত্র জাকির হোসেন কুড়িগ্রাম সরকারী কলেজের অনার্সের ছাত্র। আর নুর হোসেনের স্ত্রী আরজিনা আক্তার তানিয়া এইচএসসি পাস। কম্পিউটার ও আইটি জ্ঞান না থাকলেও তদবিরের জোরে নিয়োগ দেন ইউএনও নাসির উদ্দিন মাহমুদ। বিলুপ্ত ছিটমহল বিনিময় বাস্তবায়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা জানান, ছিটমহলে কম্পিউটারের ওপর ডিপ্লোমা করা একাধিক বেকার যুবক রয়েছে। তারপরও অযোগ্যদের কেন নিয়োগ দেয়া হয়েছে তা আমার বোধগম্য নয়। আমরা চাই যোগ্যরা যোগ্য স্থানে নিয়োগ পাবে। ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন মাহমুদ বলেন, কিছু সমস্যা আছে তা দ্রুত ঠিক হয়ে যাবে। যে দু’জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে তারা ‘আদার দ্যান বেটার’।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: