অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আঞ্চলিক অর্থনীতির সংযুক্তির মাধ্যমে এশিয়ার দেশগুলোর উন্নয়নে কাজ করছে এশিয়ার মর্যাদাকর প্ল্যাটফর্ম বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া (বিএফএ)। নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পর এই প্রথম কোন বাংলাদেশী হিসেবে বোয়াও ফোরামের বার্ষিক সম্মেলনে বক্তৃতা করার সুযোগ পেলেন সৈয়দা ইফফাত হোসেন।
তিনি বাংলাদেশের তরুণ প্রজšে§র প্রতিনিধি হিসেবে সেখানে যোগ দেবেন ও বক্তৃতা করবেন। এর আগে ২০০৭ সালে বিএফএ’র বার্ষিক সম্মেলনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নোবেল বিজয়ী হিসেবে তার বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। সম্মেলেেন ড. ইউনূস বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং তরুণ সমাজের ভূমিকা নিয়ে তার বক্তব্য তুলে ধরেন।
ফিলিপিন্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট ফিদেল রামোস, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী বক হাক এবং জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মরিহিরো হোসোকাওয়ার চেয়েছিলেন বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের আদলে এশিয়ায় একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে। এই তিন বিশ্ব নেতার প্রস্তাবেই ২০০১ সালে একটি অলাভজনক অরাজনৈতিক গবেষণা সংস্থা হিসাবে যাত্রা শুরু করে বিএফএ। এর স্থায়ী কার্যালয় করা হয় চীনের হাইনান প্রদেশে। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য এই সংগঠন প্রতি বছর একটি উন্নয়ন সংলাপের আয়োজন করে। এ বছর আগামী ২৬ ও ২৭ মার্চ বোয়াও ফোরামের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনের প্রথম দিনের একটি সেমিনারে বক্তা হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ইফফাত। চীনের প্রেসিডেন্ট এই বছর এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশের বেশ কয়েকজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সাবেক মন্ত্রী ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা এ সম্মেলনে যোগ দিচ্ছেন। এমন একটি মর্যাদাকর সম্মেলনে বক্তৃতা করার সুযোগ পেয়েছেন ইফফাত।
এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে ইফফাত বলেন, ‘আমি বাংলাদেশী। বোয়া ফোরাম করার পর আমি এশিয়ান সিটিজেন হলেও এখন নিজেকে গ্লোবাল সিটিজেন মনে করি। বোয়া ফেরামের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধিবেশনে বক্তা হিসাবে নির্বাচিত হওয়ায় আমার খুব ভাল লাগছে। আমি গোটা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতে চাই। চাই তরুণ প্রজš§কে আরও এগিয়ে নিতে।’
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: