
ছবি: জনকণ্ঠ
সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়ন ছেত্রা নদীর ব্রিজ ও বর্ধিতাংশ চরকাকরিয়া পর্যন্ত সেতু নির্মাণের দাবিতে মানববন্ধন করেছে অরুয়াইল-পাকশিমুলের জনগণ। আজ রোববার (২৯ জুন) বিকেলে ভাটি অঞ্চলে আজিজুল হকের সঞ্চালনায় হাজী মোবারক হোসাইনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে গ্রামবাসীর দাবীর সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন জাতীয় নাগরিক পার্টি - এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফ উদ্দিন মাহদি।
মানববন্ধনে গ্রামবাসী বলেন, বিগত ৫০ বছর ধরে অরুয়াইল অয়াকশিমুল ইউনিয়নের জনগণ এ সেতুর অপেক্ষায় আছে। অনেক প্রতিশ্রুতি দিল, কিন্তু এর কোন বাস্তবায়ন নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের ছেত্রা নদীর এই বাশের সাঁকো দিয়ে দুই পাড়ের প্রায় ২০টি গ্রামের লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করে। নিজেদের অর্থায়নে তৈরী দশ ফুটের একটা বাশের সাকোটি একটু ঝড় তুফানেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এলাকার মা ও বোনেরা জানান, ইমার্জেন্সি অবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য এই বাঁশের সাঁকোটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। অনেক সময় প্রত্যন্ত গ্রামের নারীদের প্রসব বেদনা শুরু হলে এই সাঁকোর ওপর দিয়ে হেঁটে নিয়ে যেতে হয়। এ নদীর ওপর সেতুটি করে দিলে আমাদের চলাচলের অনেক উপকার হবে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা জানায়, বর্ষাকালে যাতায়াতের মাধ্যম হিসেবে নৌকা ব্যবহার করা হলেও শুষ্ক মৌসুমে আমাদের এই বাঁশের সাঁকো দিয়েই নদি পার হতে হয়। সেতুর অভাবে ওই এলাকার মানুষ শিক্ষা স্বাস্থ্য ও ব্যবসা-বাণিজ্যের দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছেন।
প্রতিদিন প্রায় এক হাজার ছাত্র-ছাত্রী বাঁশের সাঁকো দিয়ে আসা যাওয়া করে। বর্ষা মৌসুমে ঝড় তুফানে এই সাঁকো ভেঙে যায়। ফলে সঠিক সময়ে তারা স্কুলে যেতে পারে না।
মাওলানা আশরাফ মাহদি বলেন, আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপি প্রদান করবো। তারা যেন অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে এই সেতু নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এনসিপি জনগণের ক্ষমতা জনগণকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য রাজনীতিতে এসেছে। আপনারা আজ যে দাবীতে মানববন্ধন করছেন এ দাবী জনমানুষের দাবী। নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমরা সর্বাত্মকভাবে অরুয়াইল পাকশিমুলের সকল গ্রামবাসীর পাশে আছি।
মানববন্ধন উপস্থিত ছিলেন, মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক মাওলানা আশরাফ উদ্দিন মাহদি, অরুয়াইল ইউনিয়নের আজিজুল হক, রানিদিয়া সর্দার সফুরুদ্দিন, জাকিয়া আক্তার, এলাকায় মুরুব্বি তারু মিয়া, কাকরিয়ার সর্দার আব্দুল কাইয়ুম, ফতেহপুর গ্রামের সর্দার শহিদুল্লাহ, জহিরুল হক মাস্টার, কুদ্দুস মিয়া, পানিশ্বর ইউনিয়নের হাজী মোবারক হোসাইন, দুর্জয় মাহমুদ, নোয়াগাও ইউনিয়নের মোস্তাফিজুর রহমান তামিম।
সাব্বির