
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে এক প্রতারককে আটক করেছে সেনাবাহিনী। উপজেলার মহেশপুর ইউনিয়নের অন্তর্গত নাওড়া, আরপাড়া গ্রামে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে একজন প্রতারককে স্থানীয় জনতা আটক করে।
রবিবার, ২৯ জুন রাত আনুমানিক ২ টায় ফয়সাল আহমেদ (৩৩) নিজেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন ওয়ারেন্ট অফিসার হিসেবে পরিচয় দিয়ে স্থানীয় নয়ন মিয়ার কন্যাকে আনুমানিক এক মাস পূর্বে বিয়ে করে। বিয়ের সময় সে একটি সেনাবাহিনীর পরিচয়পত্রের সফট কপি প্রদর্শন করেছিল। আজ সে শ্বশুরবাড়িতে এলে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একটি বিরোধের সৃষ্টি হয় এবং উক্ত ভুয়া ওয়ারেন্ট অফিসারের কথাবার্তায় স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। পরে স্থানীয় জনগণ তাকে আটক করে কাশিয়ানী আর্মি ক্যাম্পের সাথে যোগাযোগ করে।
ঘটনার সংবাদ পেয়ে কাশিয়ানী আর্মি ক্যাম্প থেকে একটি টহল দল দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উক্ত ব্যক্তি তার পরিচয় গোপন করেছে এবং সেনাবাহিনীর পরিচয় প্রদানের মাধ্যমে বিয়ে করেছে বলে জানা যায়। সেনাবাহিনীর দলটি কাশিয়ানী থানার পুলিশের সম্মিলিত উদ্যোগে উক্ত ব্যক্তিকে আটক করে কাশিয়ানী সেনা ক্যাম্পে নিয়ে আসে এবং পরবর্তীতে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাশিয়ানী থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
আটককৃত ব্যক্তির কাছ থেকে ২টি মোবাইল ফোন, ৬টি সিম কার্ড, নগদ ৩৮,৮২০/- টাকা, ৮ ভরি ৪ আনা ২ রতি স্বর্ণালঙ্কার উদ্ধার করা হয়।
কাশিয়ানী আর্মি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সকল ধরনের প্রতারণামূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে সর্বদা সজাগ এবং অপ্রতিরোধ্য অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গৌরবময় ইতিহাস ও ভাবমূর্তি নষ্ট করে এমন কর্মকাণ্ড বরদাশত করা হবে না। সেনাবাহিনী ভবিষ্যতেও এ ধরনের প্রতারণামূলক অপতৎপরতা রোধে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সমন্বয়ে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।
সানজানা