
বাংলাদেশি মাছের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য। তাদের মাছের চাহিদা মেটাতে বাংলাদেশ থেকে মাছ আমদানি করা হয়ে থাকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বছরে প্রায় ৩০০ কোটি টাকার মাছ রপ্তানি হয় ভারতের ত্রিপুরায়। চলতি অর্থবছরের গত ১১ মাসে আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ২৭৬ কোটি টাকার মাছ রপ্তানি হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত ৯,১৬৫.৪৩ মেট্রিক টন তাজা মাছ ভারতে রপ্তানি হয়েছে, যার মূল্য ২৭৫ কোটি ৬৬ লাখ ৩৩ হাজার ১৮২ টাকা। কেজিপ্রতি আড়াই ডলারে মাছ রপ্তানি হয়ে থাকে। রপ্তানিকৃত মাছের মধ্যে রয়েছে পাঙ্গাস, সিলভার কার্প, রুই, মৃগেল, কাতল, টেংরা, পাবদা, মলা, পুঁটি, কৈ, বাতাসি, কার্প, মেনি, ঘনিয়া ইত্যাদি। চলতি অর্থবছরের ডিসেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি ১,৭৮৬ টন মাছ রপ্তানি হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মিয়া জানান, বাংলাদেশি মাছের চাহিদা অনেক বেশি থাকায় অন্যান্য পণ্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি মাছ রপ্তানি হয়ে থাকে ত্রিপুরায়। প্রতিদিন প্রায় অর্ধ কোটি টাকার উপরে মাছ রপ্তানি হয় আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে। কোনো কারণে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকলে ত্রিপুরার বাজারগুলোতে মাছের চাহিদা বেড়ে যায় বলেও জানান তিনি।
আখাউড়া কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, এই স্থলবন্দর দিয়ে রপ্তানিকৃত পণ্যের মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি হচ্ছে তাজা মাছ। ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের মে মাস পর্যন্ত ৯,১৬৫.৪৩ মেট্রিক টন মাছ রপ্তানি হয়েছে।
উল্লেখ্য, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের ‘সেভেন সিস্টার’ খ্যাত সাতটি অঙ্গরাজ্যে বাংলাদেশি বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয়ে থাকে।
সানজানা