ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার নেই 

স্টাফ রিপোর্টার, গলাচিপা

প্রকাশিত: ১৯:৩৩, ২৬ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: আশ্রয়কেন্দ্রে খাবার নেই 

আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ।

ঘূর্ণিঝড় রেমাল এর প্রভাবে গলাচিপায় দমকা হাওয়া বিরাজ করছে। সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তলিয়ে গেছে বেড়িবাঁধ বিহীন এলাকা। নদী বেষ্টিত গলাচিপা উপজেলার তিন লক্ষাধিক মানুষ আতঙ্কে রয়েছে। ১০নং বিপদ সংকেত জারি করায় মানুষ জনকে নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে কাজ করছে সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক কর্মীরা। মাইকিং করে সকলকে সতর্ক করা হচ্ছে। এদিকে গলাচিপার ফেরিঘাটের গ্যাংওয়ে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। 

পানপট্টি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের গুপ্তের হাওলা গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাধ চরম ঝুঁকিতে আছে। জোয়ারের পানির চাপে বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাঁধ রক্ষায় কাজ চলছে। গলাচিপা সদর ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ চরকারফারমা তলিয়ে যাওয়ায় মানুষজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসতে স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছে। 

গলাচিপা পৌরসভার ১নম্বর ওয়ার্ডের বেড়িবাঁধের বাইরের শ্যামলী বাগ, কলাবাগান, শান্তিবাগ, কুটিয়ালপাড়া এবং তিনটি আশ্রয়ন প্রকল্পে এলাকা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দী চার হাজার মানুষকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হচ্ছে। বেদে সম্প্রদায় ৫০-৬০ জন গলাচিপা খানকায় আশ্রয় নিয়েছে। তাদেরকে গলাচিপা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খাদ্য দেওয়া হচ্ছে। 

এদিকে, গলাচিপার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া সহস্রাধিক পরিবার দুপুর থেকে না খেয়ে রয়েছে। তাদের কোন খাবার দেওয়া হয়নি। রাতের খাবারও অনিশ্চিত। এ বিষয়ে উপজেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা খোকন দাশ জানান, চেয়ারম্যানদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে খাদ্য বিতরণ করতে বলা হয়েছে। তবে পৌর মেয়রকে ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  

 

এম হাসান

×