ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: জেলা প্রশাসন ও মোংলা বন্দরের জরুরী সভা

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট

প্রকাশিত: ১৭:৪৩, ২৫ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রেমাল: জেলা প্রশাসন ও মোংলা বন্দরের জরুরী সভা

জেলা প্রশাসনের জরুরী সভা

ঘূর্ণিঝড় “রেমাল’ মোকাবেলায় বাগেরহাটে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা: খালিদ হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় জেলার সকল বিভাগ ও দপ্তরের কর্মকর্তা এবং সকল উজেলা নির্বাহী অফিসারসহ জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যসহ জনপ্রতিনিধি ও 
সেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। ঘূর্ণিঝড় “রেমাল’ মোকাবেলায় সকল ধরণের প্রয়োজনীয় প্রস্তুত্তির বিষয়ে মতামত গ্রহন ও নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই সাথে জেলার ৪৪৬ টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্টান প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ছুটি বাতিল করার কথা জানানো হয়।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি উপলক্ষে ডিসি মোহা: খালিদ হোসেন বলেন, দুর্যোগপূর্ব, দুর্যোগ কালিন এবং দুর্যোগ পরবর্তি সকল ধরণের সমন্বিত প্রস্তুতি আমরা গ্রহন করেছি। আমাদের ৪৪৬ টি আশ্রয় কেন্দ্রসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রয়েছে। তিন হাজার ৫০৫ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরি ত্রাণ কার্যে ব্যবহারের জন্য রয়েছে পাঁচ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৬৪৩. ৪০০ টন চাল মজুদ রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকতে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা হয়েছে।এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ সতর্কতায় সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয় বাগেরহাটে মাইকিং করছে কোস্টগার্ড। জনসাধারণকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন এ মাইকিং শুরু করেছে। শনিবার (২৫ মে) পশুর নদী এবং সুন্দরবন উপকূলীয় এলাকার নদী ও সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার ট্রলার, বিভিন্ন নৌযান সমূহকে ঘূর্ণিঝড় আসার আগেই নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার জন্য প্রচার করা হচ্ছে। 
 
কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মুনতাসির ইবনে মহসীন জানান, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার আশঙ্কার বিষয়টি সামনে রেখে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে কোস্টগার্ড মোংলা পশ্চিম জোন। মোংলা বন্দরে জরুরী সভা: কার্গো ও লাইটারেজ গুলোকে চ্যানেলের বাইরে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে।

অপরদিকে, শনিবার দুপুরে ‘‘ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবেলায় মোংলা বন্দরে জরুরী প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বন্দরের সভাকক্ষে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান এর সভাপতিত্বে এ সভায় বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড়, পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস (ইপিজেড), এনএসআই, ডিজিএফআই প্রতিনিধিসহ মোংলা বন্দরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সরাসরি ও জুমের মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন।

ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবেলায় মোংলা বন্দরে প্রস্তুতি হিসেবে নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ড ও সংশ্লিষ্ট বন্দর ব্যবহারকারীদের সঙ্গে সমন্বয় করা হয়েছে। বন্দর চ্যানেলকে নিরাপদে রাখার জন্য দেশি কার্গো ও লাইটারেজ গুলোকে চ্যানেলের বাইরে নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। বর্তমানে মোংলা বন্দরের অবস্থানরত ৬ টি বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজকে নিরাপদ ও সতর্ক অবস্থানে রাখা হয়েছে। বন্দরে আমদানিকৃত গাড়ি নিরাপদে রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে ও আমদানিকারকগণের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। এছাড়া বন্দর জেটিতে নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজগুলো নিরাপদ অবস্থানে রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।”

শনিবার (২৫ মে) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. মহিববুর রহমান উপকূলীয় বাগেরহাটসহ সাতক্ষীরা, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা জেলাসমূহকে অধিকতর প্রস্তুত থাকার জন্য বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান।’ 

শহিদ

×