ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

সিলেটে ভোটযুদ্ধে চাচা-ভাতিজা

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট অফিস

প্রকাশিত: ২১:২৫, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

সিলেটে ভোটযুদ্ধে চাচা-ভাতিজা

ডোমার উপজেলার নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী সরকার ফারহানা আক্তার সুমীর নির্বাচনী প্রচার

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদ নিয়ে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন চাচা-ভাতিজা। এ নিয়ে উপজেলার ভোটারদের মধ্যে কৌতূহল দেখা দিয়েছে। কে বিজয় মালা পরবেন চাচা না ভাতিজা, নাকি অন্য কোনো প্রার্থী। চাচা-ভাতিজার ভোটযুদ্ধ নিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে উঠেছে।  তফসিল অনুযায়ী, আগামী ২৯ মে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে একাধিক প্রার্থী থাকলেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু চাচা-ভাতিজা।

ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাছিত টুটুল দীর্ঘদিন ধরে দলের দায়িত্বশীল পদে আছেন। এর আগেও ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ছিলেন টুটুল। দলীয় কোন্দলে ভরাডুবি হয়। ২০১৯ সালেও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও পাননি আব্দুল বাছিত টুটুল। এবারের নির্বাচনেও সরব টুটুল দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের মন জয় করতে ব্যস্ত।

অপরদিকে ভাতিজা আশফাকুল ইসলাম সাব্বির ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। স্থানীয় সংসদ সদস্যের আস্থাভাজন হওয়ায় ফেঞ্চুগঞ্জে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে অবদান রেখেছেন ও আর্থসামাজিক কাজে সম্পৃক্ত রয়েছেন সাব্বির। জানা যায়, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার কেএম টিলা গ্রামের বাসিন্দা চাচা-ভাতিজা। সম্পর্কে টুটুলের চাচাত ভাইয়ের ছেলে সাব্বির। দুই প্রজন্মের সম্পর্ক হলেও উপজেলার সবাই তাদের আপন চাচা-ভাতিজা মনে করেন। এ অবস্থায় কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ।

মীরসরাই সীতাকুণ্ড ও সন্দ্বীপে মাঠে প্রার্থীরা
স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস থেকে জানান, সারাদেশে প্রথম দফায় উপজেলা নির্বাচন হতে যাচ্ছে আগামী ৮ মে। প্রথম পর্বে চট্টগ্রামে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ৪টি উপজেলায়। তবে এরমধ্যে একক প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচন হচ্ছে না রাউজানে। বাকি তিন উপজেলা মীরসরাই, সীতাকু-, সন্দ্বীপে প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়ে মাঠে গড়িয়েছে ভোটের যুদ্ধ। প্রতীক বরাদ্দের পর মীরসরাইয়ে ৫ চেয়ারম্যান প্রার্থী নেমে পড়েছেন প্রচারে। মীরসরাইয়ে এবার নতুন মুখ পেতে যাচ্ছে উপজেলাবাসী।

কারণ বর্তমান চেয়ারম্যান এবার নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন না। ফলে নির্বাচনের মাঠে আছেন অন্যরা। এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান (ঘোড়া), উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌস হোসেন আরিফ (আনারস), করের হাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এনায়েত হোসেন নয়ন (কাপ পিরিচ), উত্তর কুমার শর্মা (দোয়াত-কলম) ও মোহাম্মদ মোস্তফা (মোটরসাইকেল)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে আছেন চারজন।

তারা হলেন সাইফুল ইসলাম (চশমা), মোহাম্মদ সেলিম (টিয়া পাখি), সালাহ উদ্দিন আহম্মদ (টিউবওয়েল), মোহাম্মদ সাইফুল আলম (তালা)। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রয়েছেন বর্তমানে পদে থাকা ইসমত আরা ফেন্সি (কলস), উম্মে কুলসুম কলি (ফুটবল) ও বিবি কুলছুমা চম্পা (পদ্মফুল)। 
সীতাকু-ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রচার চলাচ্ছেন দুই প্রার্থী। এ পদেও নতুন মুখ আসবেন। কারণ এর আগে এ উপজেলায় যিনি চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি বর্তমানে সংসদ সদস্য। ফলে সীতাকু-বাসী পেতে যাচ্ছেন নতুন উপজেলা চেয়ারম্যান। এবার ভোটের মাঠে চেয়ারম্যান পদে লড়াইয়ে আছেন আরিফুল আলম চৌধুরী রাজু (আনারস) ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মঞ্জু (দোয়াত-কলম)।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাজী গোলাম মহিউদ্দিন (উড়োজাহাজ) ও জালাল আহমদ (টিউবওয়েল)। অপরদিকে সীতাকু-ে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন শাহীনুর আক্তার বিউটি (পদ্মফুল), হামিদা আক্তার (ফুটবল) ও শামীমা আক্তার লাভলী (হাঁস)। 
এদিকে মূল ভূখ- থেকে বিচ্ছিন্ন সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ৫ জন। ভোটের লড়াইয়ে যারা আছেন তারা হলেন বর্তমান চেয়ারম্যান মাঈন উদ্দিন মিশন (কাপ-পিরিচ), মগধরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এসএম আনোয়ার হোসেন (আনারস), ফোরকান উদ্দিন (দোয়াত-কলম), অ্যাডভোকেট নাজিম জামশেদ (মোটরসাইকেল) ও শেখ মোহাম্মদ জুয়েল (হেলিকপ্টার)। প্রার্থীরা প্রচারণার মাঠে রয়েছেন গত মঙ্গলবার থেকে।

মনোহরগঞ্জে ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে প্রার্থীরা
নিজস্ব সংবাদদাতা, মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লা থেকে জানান, প্রতীক বরাদ্দ পেয়েই ভোটযুদ্ধে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। শুরু করেছেন শো-ডাউন।তীব্র গরমের মধ্যে প্রার্থীরা তাদের কর্মী-সমর্থক নিয়ে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে। কোলাকুলি-কুশল বিনিময় করে খোঁজ-খবর নিয়ে ভোট চাচ্ছেন। তারা নিজ উপজেলার উন্নয়নে ভোটারদের দ্বারে-দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেন। সেইসঙ্গে প্রার্থীরা নির্বাচনী এলাকায় মাইকিং, ব্যানার-ফেস্টুন এবং পোস্টার টাঙানো শুরু করেছেন।
মনোহরগঞ্জ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন (আনারস) উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল মান্নান চৌধুরী (ঘোড়া) সাবেক  মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা কুসুম (দোয়াত) প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পুরুষ  ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আমিরুল ইসলাম (তালা) মনিরুজ্জামান (টাইপ রাইটার) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিরিন আক্তার মুক্তা বরাদ্দ পেয়েছেন (প্রজাপতি) ও বিলকিস আক্তার (ফুটবল)। 

বন্দরে প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন
স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকেই চার প্রার্থী এলাকায় গিয়ে ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। এ ছাড়াও ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রার্থী ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ প্রার্থীও প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বুধবার চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রচার চালিয়েছেন।
জানা যায়, বন্দর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম, এ রশীদ (দোয়াত কলম), সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল (চিংড়ি মাছ), মাকসুদ হোসেন (্আনারস) ও মাহমুদুল হাসান (হেলিকপ্টার) ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন। বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদকে সমর্থন জানিয়ে বন্দরে মহানগর ৯টি ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে মঙ্গলবার বিকেলে নবীগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোশাঈদ রহমান (তালা), সানাউল্লাহ সানু (উড়োজাহাজ), আলমগীর (মাইক), শাহিদুল ইসলাম জুয়েল (টিউবওয়েল) ভোটাদের দ্বারে-দ্বারে গিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। অপরদিকে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহমুদা আক্তার (কলস) ও ছালিমা হোসেন (ফুটবল) প্রতীক পাওয়ার পর থেকেই জোরেশোরেই প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

গোপালগঞ্জে প্রচার শুরু
নিজস্ব সংবাদদাতা গোপালগঞ্জ থেকে জানান, শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনী প্রচার। সদর, টুঙ্গীপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে এবং কাশিয়ানী ও মুকসুদপুর উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২১ মে। তাই প্রার্থীরাও এ মুহূর্তে ভীষণ ব্যস্ত সময় পার করছেন। সবার দোয়া-আশীর্বাদ নিতে দৌড়ঝাঁপ করছেন ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে। নতুন-পুরনো সব প্রার্থীর প্রচারে এখন মুখরিত গোপালগঞ্জ। সবখানেই এখন নির্বাচনী গুঞ্জন। অংশগ্রহণকারী সকল প্রার্থীই স্বতন্ত্র প্রার্থী। 
মঙ্গলবার গোপালগঞ্জ সদর, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদেরকে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর আগে সোমবার প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিনে টুঙ্গিপাড়ায় চেয়ারম্যান পদে একজন এবং গোপালগঞ্জ সদর ও কোটালীপাড়ায় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী তাদের আবেদনপত্র প্রত্যাহার করে নেন। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রার্থীরা স্ব-স্ব মার্কা নিয়ে নতুন উদ্যমে শুরু করেছেন তাদের নির্বাচনী প্রচার। তিনটি উপজেলাতেই তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে - এমনটাই মনে করছেন সবাই। 
গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় টানা তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ লুৎফার রহমান বাচ্চু এবারে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন আটজন। এরা হলেন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান ভুঁইয়া লুটুল (টেলিফোন), জেলা কৃষক লীগের উপদেষ্টা মাহামুদ হোসেন মোল্লা দিপু (ঘোড়া), গোপালগঞ্জ সার্বজনীন কেন্দ্রীয় কালীবাড়ির সভাপতি রমেন্দ্র নাথ সরকার (জোড়া ফুল), উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস-চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য বি এম লিয়াকত আলী (আনারস), সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ ইব্রাহীম খলিল (কাপ-পিরিচ), উপজেলা পরিষদের বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান ও পৌর-স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি নিতিশ রায় (মোটরসাইকেল), জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক শেখ রফিকুল ইসলাম মিটু (দোয়াত-কলম) ও কমলেশ বিশ্বাস (হেলিকপ্টার)।

সদর উপজেলায় ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সাদিকুল আলম সিকদার দিনার (পালকি), জুয়েল বিশ্বাস (মাইক), ফাহাদ মোল্লা (টিউবওয়েল), সুশীল বিশ^াস শিপন (উড়োজাহাজ), ফারুক হোসেন (বই), আজিজুল ইসলাম (তালা) ও এ আজিজ খান (চশমা) এবং মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান ভাইস-চেয়ারম্যান নিরুন্নাহার (হাঁস), শাহানাজ নাজনীন (কলস) ও খাদিজা বেগম (ফুটবল)।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলায় বর্তমান চেয়ারম্যান সোলায়মান বিশ্বাস নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তার আপন ছোট ভাই উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ^াস মোহাম্মদ মাহামুদ হক চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিলেও প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষদিনে তিনি তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। শেষ পর্যন্ত টুঙ্গীপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন দুজন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল শেখ (দোয়াত-কলম) এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সংগঠনিক সম্পাদক গাজী মাসুদুল হক (আনারস)। টুঙ্গিপাড়া উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন মাহাবুবুর রহমান মোল্লা (তালা), অসীম কুমার বিশ^াস (বৈদ্যুতিক বাল্ব), রমজান শরীফ (টিউবওয়েল), কবির শেখ (মাইক), বলাই সেন (বই), আব্দুল ওহাব শেখ (উড়োজাহাজ), কাজী ফকরুল ইসলাম (চশমা) ও রতন রবিদাস (টিয়া পাখি)।

উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন সোফিদা আক্তার (ফুটবল), জলি আক্তার বিমা (পদ্মফুল), দুলালী রানী মন্ডল (কলস), মিসেস পারুল বেগম (হাঁস) ও পারভীন আক্তার (প্রজাপতি)। কোটালীপাড়া উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন তিনজন। এরা হলেন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা বিমল কৃষ্ণ বিশ^াস (দোয়াত-কলম), সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মুজিবুর রহমান হাওলাদার (চিংড়ি মাছ) ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন খান (ঘোড়া)।

কোটালীপাড়া উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে চারজন আবেদন করলেও প্রত্যাহারের দিনে দুই প্রার্থী তাদের আবেদনপত্র প্রত্যাহার করেছেন এবং এখন প্রার্থী রয়েছেন দুজন। একজন দেবদুলাল বসু (টিউবওয়েল) এবং অপরজন আতিক উজ্জামান বিশ^াস (তালা)। এ ছাড়া উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন রুবি বিশ^াস (সেলাই মেশিন), জেসমিন বেগম (কলস), রাহা প্রমা চয়নিকা (ফুটবল), রীনা মন্ডল (পদ্মফুল), লক্ষ্মী সরকার (প্রজাপতি) ও তিথি ডি কান্তা (হাঁস)।
 
বরিশালে গণসংযোগ
স্টাফ রিপোর্টার বরিশাল থেকে জানান, দ্বিতীয় ধাপে হিজলা ও মুলাদী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তবে ঋণের টাকা পরিশোধ করা হয়েছে দাবি করে ওই প্রার্থী জানিয়েছেন, টাকা পরিশোধের কাগজপত্র বুধবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। যাচাই-বাছাইয়ে ওই দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান, পুরুষ ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। 
মুলাদী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দুজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন এবং নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থী রয়েছেন। চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন-বর্তমান চেয়ারম্যান তারিকুল হাসান খান মিঠু ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরউদ্দিন খসরু। ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাজী মাইনুল আহসান সবুজ ও অহিদুজ্জামান। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোসাম্মদ নাদিরা, মাকসুদা আক্তার ও শামিমা নাসরিন।

হিজলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ছয়জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে দুজন প্রার্থী রয়েছেন। চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন-সাবেক চেয়ারম্যান সুলতান মাহমুদ টিপু সিকদার, তার ছোট ভাই আলতাফ মাহমুদ দিপু সিকদার, দেলোয়ার হোসেন, নজরুল ইসলাম ও হাফিজুর রহমান। ভাইস চেয়ারম্যান পদে কাজী কামরুজ্জামান, ফারুক ইসলাম, মিজানুর রহমান, লোকমান হোসেন, সাইদুল ইসলাম মাহিম ও সোলাইমান। নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাজমা বেগম ও সেলিনা ইসলাম।
দাবদাহ উপেক্ষা করে গণসংযোগ ॥ গত কয়েকদিনের প্রচ- দাবদাহকে উপেক্ষা করে প্রথম ধাপের বরিশাল সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক অব্যাহত রেখেছেন। সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী সাংবাদিক নেতা এসএম জাকির হোসেন (মোটরসাইকেল), যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হক খান মামুন (আনারস), শিক্ষক নেতা আব্দুল মালেক (কাপ-পিরিচ), সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম ছবি (দোয়াত-কলম) ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান মধুর (ঘোড়া) মার্কার সমর্থনে বুধবার সকাল থেকে তাদের সমর্থকরা একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়ে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালাচ্ছেন।

একইসঙ্গে বসে নেই উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী জসিম উদ্দিন (তালা), মাহিদুর রহমান মাহাদ (বই), হাদিস মীর (টিউবওয়েল) ও শহীদ মোহাম্মদ শাহনেওয়াজ (উড়োজাহাজ), নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নেহার বেগম (হাঁস), মারিয়া আক্তার (ফুটবল) ও হালিমা বেগম হ্যাপীর (কলস) মার্কার কর্মী-সমর্থকরা। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের ব্যাপক গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণায় প্রচ- দাবদাহের মধ্যেও সদর উপজেলার সর্বত্র নির্বাচনী উৎসব ছড়িয়ে পড়েছে।

লালপুরে ১১ প্রার্থী মাঠে 
নিজস্ব সংবাদদাতা লালপুর, নাটোর থেকে জানান, ২য় ধাপে অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে লালপুরে তিন পদের বিপরীতে মোট ১১ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান প্রার্থী ৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। আর ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী পদে তিনজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়া মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয় বলে জানা গেছে।

চেয়ারম্যান পদে লালপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমেদ সাগর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম জয় ও উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুর রহমান আরিফ।

আর ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান মানোয়ার হোসেন মনি, আওয়ামী লীগের নেতা তৌহিদুল ইসলাম বাঘা ও উপজেলা যুবলীগের নেতা কামরুল হাসান মিল্টন। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা লীগের সভানেত্রী পারভীন আক্তার বানু, বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লাবণী সুলতানা ও আওয়ামী লীগ সমর্থক মাহাফুজা খাতুন। 

ডোমারে প্রথম নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী
স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী থেকে জানান, আগামী ৮ মে ডোমার উপজেলা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমবারের মতো ডোমারের ভোটাররা নারী চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে সরকার ফারহানা আক্তার সুমীকে এবার পেয়েছেন। ১৯৮৩ সালে উপজেলা পরিষদ গঠনের পর আর কোনো নারী উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি এই উপজেলায়। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে  ফারহানা আক্তার সুমীর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে  আরও ৭ প্রার্থী রয়েছেন।

অর্থাৎ সুমীসহ আট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী লড়ছেন। সুমী উপজেলার ভোগডাবুড়ি ইউনিয়নের চিলাহাটি এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম রব্বানীর মেয়ে। তিনি মহিলা যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (রংপুর-রাজশাহী) দায়িত্বে রয়েছেন। এ ছাড়া তিনি নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য। সুমীর প্রতীক টেলিফোন। প্রতিদ্বন্দ্বী অপর ৭ চেয়ারম্যান প্রার্থী হলেন মনোয়ার হোসেন (হেলিকপ্টার) মঞ্জুরুল হক চৌধুরী (কাপ পিরিচ), আব্দুল মালেক সরকার (ঘোড়া) ও তোফায়েল আহমেদ (আনারস)।

রায়পুরে এমপির ভগ্নিপতি প্রার্থী
নিজস্ব সংবাদদাতা, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর থেকে জানান, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন স্থানীয় সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের আপন ভগ্নিপতি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদ। আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় উপজেলাজুড়ে তাকে নিয়ে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

প্রার্থীদের মনোনয়ন জমাদানের আগ পর্যন্ত এ উপজেলায় বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মারুফ বিন জাকারিয়া চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালালেও দলের তৃণমূল নেতাদের বর্ধিত সভায় মামুনুর রশিদকে দলের একক চেয়ারম্যান প্রার্থী করতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

তাই বাধ্য হয়ে দলের সিদ্ধান্তে মারুফ বিন জাকারিয়া আবারও ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবেই নির্বাচনে লড়ছেন। এদিকে আওয়ামী লীগ থেকে দুবারের বহিষ্কৃত নেতা সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাস্টার আলতাফ হোসেন হাওলাদার অধ্যক্ষ মামুনুর রশিদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

×