ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১

টেপ টেনিসের বন্ধুদের সাথে মাশরাফি

নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল 

প্রকাশিত: ১৬:৪৮, ১৩ এপ্রিল ২০২৪

টেপ টেনিসের বন্ধুদের সাথে মাশরাফি

বন্ধুদের সাথে মাশরাফি 

ঈদের ৩য় দিনে নড়াইলে এসেই স্কুল বন্ধুদের ১৯৯৯ ব্যাচের হয়ে টেপটেনিস খেললেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদের হুইপ মাশরাফি বিন মোর্তুজা। নিজের দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন দেশসেরা ক্যাপ্টেন। এই দলেরও ক্যাপ্টেন তিনি। 

মাঠে তখন উৎসাহ আর আনন্দের শেষ নাই। নিজের মাঠে নিজের বন্ধুদের সাথে খেলে হাসি-ঠাট্টা ও করলেন মাশরাফি। নিজের বাড়ির সাথে চীরচেনা এই মাঠেই মাশরাফির শৈশবের ক্রিকেটের হাতেখড়ি।

ঈদের পরদিন ১২ এপ্রিল থেকে নড়াইলে শুরু হয়েছে ৩২ দলের স্কুল ব্যাচ ভিত্তিক ক্রিকেট টূর্নামেন্ট। নড়াইল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯০ থেকে ২০২১ পর্যন্ত ৩২ দলের টূর্ণামেন্টই এবারে নড়াইলের ঈদ। গত কয়েকদিন ধরে তার প্রস্তুতি চলেছে। প্রতিটি দলে কোচ ম্যানেজারসহ ২০জন করে সদস্য প্রতিনিধিত্ব করছে।

ঈদের পরদিন থেকে শুরু হওয়া চরম উত্তেজনার এই ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করতেই ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছে নানা জায়গায় চাকুরী করা আর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উচ্চশিক্ষা নেয়া ব্যচের বন্ধুরা। গরম আর রোদেও তাদের আনন্দের শেষ নাই। 

মাঠটিকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। প্রতিযোগিতায় ৩২টি দল দুই গ্রুপে বিভক্ত হয়ে অংশ নিচ্ছে। মাঠের চারপাশে রঙিন পতাকায় সজ্জিত করাসহ ছোট ছোট ৩২টি প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়। নক আউট পদ্ধতির ৮ ওভারের খেলায় শুধু চার-ছক্কার ছড়াছড়ি। কাঠ ফাটা রোদে অনুষ্ঠিত ম্যাচের পুরোটা সময় জুড়ে ছিল চরম উত্তেজনা। 

শনিবার ২য় দিনের ১ম খেলায় ১৯৯৮ ব্যাচ প্রথমে ব্যাট করে মাশরাফির ১৯৯৯  ব্যাচকে ৭৩ রানের টার্গেট দেয়। ১৯৯৯ ব্যাচ ৭ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৭৪ রান করে জয়ের লক্ষ্যে পৌছে যায়। মাশরাফি  বল করে ১ উইকেট পায়  এবং  ব্যাটে ৩০ রান করে। ম্যাচে ম্যান অব দা ম্যাচ নির্বাচিত হন মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা। 

এ সময় ৩২টি ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থীসহ কয়েক’শ ক্রিকেট প্রেমি দর্শক উপস্থিত ছিলেন।

শনিবার (১৩এপ্রিল) সকালে নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য এবং জাতীয় সংসদের হুইপ মাশরাফি বিন মোর্তুজা টূর্ণামেন্ট খেলতে মাঠে আসলে আয়োজন অন্যরকম রূপ নেয়। শৈশবের মাঠে বন্ধুদের সাথে খেলতে পেরে আনন্দিত মাশরাফি। ক্রিকেট মাঠে ফিরেছে এটাই আশা ছিলো তার।

মাশরাফি বলেন, এই টূর্নামেন্টের উদ্দেশ্য ৩টা। এক ঈদের পরে পূনমির্লনী এর সাথে ক্রিকেটকে উজ্জীবিত করা যাতে আমাদের ছেলেরা অন্য কোন বাজে দিকে মন না দিয়ে খেলায় ফিরতে পারে। সর্বোপরি এতগুলো ব্যচের ছেলেরা নিজেদের স্কুলের মাঠে খেলছে এটা অনেক আনন্দের। আমি এবং আমার স্কুলের বন্ধুরাও খুব আনন্দ পেয়েছি এখানে খেলে।

 

শহিদ

×