ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

গুমানী নদীর মাটি লুটের হিড়িক

নিজস্ব সংবাদদাতা, চাটমোহর, পাবনা

প্রকাশিত: ০১:১৯, ৭ এপ্রিল ২০২৪

গুমানী নদীর মাটি লুটের হিড়িক

নদী থেকে মাটি কেটে সরবরাহ করা হচ্ছে অবৈধভাবে স্থাপিত ইটভাঁটিতে

মাটিখেকো চক্রের কালো থাবার শিকার গুমানী নদী। চাটমোহরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত শুকিয়ে যাওয়া গুমানী নদীতে অবৈধভাবে মাটি কাটার মচ্ছব শুরু হয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের  কোনো পদক্ষেপ নেই। নদী থেকে মাটি কেটে সরবরাহ করা হচ্ছে অবৈধভাবে স্থাপিত ইটভাঁটিতে। দিনরাত মাটি কেটে নেওয়ার ফলে পরিবেশ যেমন হুমকির মুখে পড়েছে, তেমনি দিনে ও রাতে মাটিবোঝাই ডাম্পট্রাক ও স্থানীয় কুত্তাগাড়ি চলাচল করায় এলাকার সড়কগুলো চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। গুমানী নদী থেকে দিন-রাত ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে চক্রটি।
সরেজমিন এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিমাইচড়া ইউনিয়নের দুইজন নির্বাচিত মেম্বর নায়েব আলী ও মিজানুর রহমানসহ কয়েকজন গুমানী নদীর নিমাইচড়া পশ্চিমপাড়া, ধানকুনিয়া ম-লবাড়ি ও মির্জাপুর এলাকায় দিন-রাত মাটি কেটে ইটভাঁটিতে বিক্রি করছে। স্থানীয় এক নেতার ছত্রচ্ছায়ায় এই মাটি কাটার মচ্ছব চলছে বলে জানালেন এলাকাবাসী। তবে এই দুই মেম্বারের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
গুমানী নদী থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটা বন্ধে ও পরিবেশ রক্ষার দাবিতে ‘চলনবিল রক্ষা আন্দোলন’ নামের একটি সংগঠন ইতোমধ্যেই পাবনা জেলা প্রশাসক, চাটমোহর ও ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। কিন্তু এখনো প্রতিকার মেলেনি। বরং মাটি কাটা আরও বেড়েই চলছে। চলনবিল রক্ষা আন্দোলন কমিটির সদস্য সচিব, বাপার কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম মিজানুর রহমান বলেন, গুমানী নদীতে মাটি কাটা বন্ধের আবেদন জানিয়ে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু কোনো ফল পাওয়া যায়নি।

বরং গুমানী নদীতে মাটি কাটার মচ্ছব শুরু হয়েছে। ফের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করে কথা বলেছি। চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেদুয়ানুল হালিম বলেন, নদীর মাটি কাটা অপরাধ। নদী থেকে মাটি কাটার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।

×