ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

অতিরিক্ত যাত্রী বহনে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে স্পিডবোট দুর্ঘটনা 

মোহাম্মদ আয়াছুল আলম, কক্সবাজার 

প্রকাশিত: ২২:৪২, ৫ এপ্রিল ২০২৪

অতিরিক্ত যাত্রী বহনে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে স্পিডবোট দুর্ঘটনা 

বঙ্গোপসাগর

কক্সবাজারে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারনে ঢেউয়ের কবলে পড়ে সেন্টমার্টিনের কামাল হোসেনের মালিকানাধীন স্পিডবোটটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় স্থানীয় জেলেরা তিন শিশুসহ ১৯ যাত্রী উদ্ধার করে। 

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের নাফ নদের নাইক্ষ্যংদিয়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

ঘটনাটি স্বীকার করে সেন্টমার্টিন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবদুল বাতেন বলেন, টেকনাফগামী একটি স্পীডবোট শাহপরীর দ্বীপের কাছাকাছি গিয়ে ডুবে যায়। তবে কোন যাত্রী হতাহত হয়নি। মূলত অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারনে স্পীড বোটটি ডুবে যায়। বিষয়টি খতিয়ে দেখে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টেকনাফ উপজেলার সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান আক্তার কামাল বলেন, সেন্টমার্টিন থেকে যাওয়ার পথে নাফনদে যাত্রীবাহী একটি স্পীড বোট ডুবে যায়। কমাল হোসেনের মালিকাধীন এ বোটে অতিরিক্ত যাত্রী ছিলা কিনা জানা নেই। তবে  যাত্রীরা নিরাপদে আছেন।

এ বিষয়ে লাইম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরকে একাধিকবার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়নি। 

সেন্টমার্টিন স্পিডবোট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি ও ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম জানান, যে স্পিডবোডটিতে দুর্ঘটনা হয়েছে এটা আমাদের সমিতির নয় এবং উপজেলা প্রশাসনের অনুমতিবিহীন। সেন্টমার্টিনের জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অনুমোদনহীন ও অদক্ষ ড্রাইভার দিয়ে কয়েকটি স্পিডবোট সেন্টমার্টিন থেকে টেকনাফ যাত্রী পরিবহন করে আসছে। যার কারনে এ ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। এদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা না নিলে প্রাণ হানির আশঙ্কা রয়েছে।

জানতে চাইলে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মো. আদনান চৌধুরী বলেন, উল্লিখিত স্পিডবোটটি সেখানকার স্পিডবোট মালিক সমিতির অন্তর্ভুক্ত নয়। এটি কোনো কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়াই চলাচল করতো। এর মালিকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এসআর

×