ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১

উলিপুরে টিসিবির পণ্যে পোকা ও দুর্গন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ২১:২৭, ৩ এপ্রিল ২০২৪

উলিপুরে টিসিবির পণ্যে পোকা ও দুর্গন্ধ

কুড়িগ্রামের উলিপুরে টিসিবির নিম্নমানের চাল বিতরণ

উলিপুরে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) পণ্যে পোকা, পচা, দুর্গন্ধযুক্ত ও নি¤œমানের চাল বিতরণের অভিযোগ উঠেছে। গত মঙ্গলবার পৌর সভার ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডে টিসিবি ডিলার মেসার্স বন্যা স্টোর ও তবকপুর ইউনিয়নের দুটি পয়েন্টে তাছনিম ট্রেডার্স ও লুবান ট্রেডার্স এসব নিম্নমানের চাল বিতরণ করে। এ সময় ভোক্তারা পোকা ও দুর্গন্ধযুক্ত চাল নিতে অস্বীকৃতি জানালেও অনেকে নিরুপায় ও বাধ্য হয়ে এসব চাল নিচ্ছেন।

অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করলেও এর দায় নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ডিলার মেসার্স বন্যা স্টোরের স্বত্বাধিকারী বাদশা মিয়া। তিনি বলেন, ভোক্তাদের অভিযোগ ও আপত্তির কথা ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাকে জানিয়েছি ও খাদ্য বিভাগকে ভালো মানের চাল দেওয়ার জন্য বলেছি। তারা যেমন চাল দেন আমরা তেমনটাই বিক্রি করি। একই কথাই বলেন তাছনিম ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী রাকিবুল হাসান তৌফিক ও লুবান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী সাজ্জাদুল ইসলাম।

কার্ডধারী রফিকুল ইসলাম জানান, টিসিবি পণ্যের যে চাল দিচ্ছে তা পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত মানুষ খাওয়া তো দূরের কথা গরু-ছাগলকে খাওয়ালে তাদের পেট খারাপ হবে। তার সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই কথা বলেন এনামুল, নুরুজ্জামানসহ অনেক ভোক্তা।
খাদ্য পরিদর্শক ও ভারপ্রাপ্ত খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, উলিপুর খাদ্যগুদামে চাল সংকট থাকায় ওই চালগুলো কুড়িগ্রাম সদর থেকে দুই মাস আগে আনা হয়েছে। আমি কুড়িগ্রামে কথা বলেছি চাল পরিবর্তন করে ভালো মানের চাল দেবে।  
উলিপুর পৌর মেয়র মামুন সরকার মিঠু বলেন, আট ও নয় নম্বর ওয়ার্ডের চাল পচা ও দুর্গন্ধযুক্ত এমন অভিযোগ পাইনি। তবে গত সোমবার ছয় নম্বর ওয়ার্ডের টিসিবির চালে পোকা রয়েছে এমন কথা শুনে তা বিতরণ করতে নিষেধ করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতাউর রহমান বলেন, চালে সমস্যা থাকার অভিযোগ পেয়েছি। নি¤œমানের চাল বিতরণের বিষয়টি অবগত হওয়ার পর তাদের ভালো মানের চাল দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।
     
খাদ্য গুদামের সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রি 
নিজস্ব সংবাদদাতা, বাকেরগঞ্জ, বরিশাল থেকে জানান, বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলায় খাদ্য গুদামের সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রির মহোৎসব চলছে। উপজেলার চরাদি হলতা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা উম্মে কুলসুমের বিরুদ্ধে গোডাউনের সরকারি চাল কালোবাজারে বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার ওই গুদামে খুলনা থেকে দুটি জাহাজে চাল আসলে তা শ্রমিক দিয়ে গোডাউনে উত্তোলনের সময় দুপুর ১২টায় একটি ভ্যান গাড়িতে করে সরকারি গোডাউন থেকে এক কিলোমিটার দূরে রাজার চালের মিলে গুদাম কর্মকর্তার নির্দেশে শ্রমিকরা চাল নিয়ে যায়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তাড়াহুড়া করে তা আবার বের করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে সরাতে পারেনি। চাল মিলের মালিক রাজা বলেন, তার মিলে চাল ঢুকানোর সঙ্গে তিনি জড়িত নন।

তিনি বলেন, জাহাজে চাল ভিজে গেছে তাই শুকাতে আমার চাল মিলে নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা উম্মে কুলসুম বক্তব্য দিতে রাজি নয়। তবে তিনি সাংবাদিকদের সংবাদ না করার অনুরোধ করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে সত্যতা পাওয়া গেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

×