ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বাহারি নামের পিঠা চিনল শিশু শিক্ষার্থীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, গফরগাঁও

প্রকাশিত: ২২:৩০, ২৫ জানুয়ারি ২০২৪

বাহারি নামের পিঠা চিনল শিশু শিক্ষার্থীরা

এক শ’ পদের ভর্তা দিয়ে ভোজনে ব্যস্ত পিঠাপ্রেমীরা

আউলাজুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের এক পাশে বড় জটলা। সেখানে টেবিলের ওপর শামুক, মালপোয়া, কাঠাল পাতা, নকশি, শিমফুল, মাংসের পুলি, চিপস, ঝুড়ি, পয়সা, তাঁরা, পাটি সাপটা, কদম, কুমড়াসহ বাহারি নামের সব পিঠা টেবিলে থরে থরে সাজানো। স্টলে দাঁড়িয়ে দেখছিল অনেক শিশু শিক্ষার্থী। কেউ কেউ আবার বাহারি সব পিঠা খেয়ে স্বাদ নিচ্ছিল। 
বৃহস্পতিবার দুপুরে উৎসবমুখর পরিবেশে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার পাগলা থানাধীন মশাখালী ইউনিয়নের আউলাজুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব।
ছোট ছোট ও কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীদের দেশীয় ঐতিহ্য এই পিঠাকে পরিচিত করতে এমন ভিন্নধর্মী আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস সানি। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বাড়ি থেকে এসব পিঠা তৈরি করে আনেন। এতে পিঠার পরিচিতির পাশাপাশি বিদ্যালয়ে ছিল উৎসবের আমেজ।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুমাইয়া সুলতানা বলেন, এ আয়োজনকে কেন্দ্র করে বিদ্যালয়ে ছিল উৎসবের আমেজ। পিঠা উৎসবে এসে শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন পিঠার সঙ্গে পরিচিতি হতে পেরেছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, অনেক পিঠা দেশ থেকে এখন প্রায় হারিয়ে গেছে। 
হরিণাকু-ু 
নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ থেকে জানান, প্লেটে সাজানো রয়েছে পিঠা। সবাই হাত বাড়িয়ে নিচ্ছেন পিঠা। হরেক রকম পিঠার স্বাদে মুগ্ধ শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, অতিথি ও দর্শনার্থীরা। বৃহস্পতিবার দিনভর হরিণাকু-ু সরকারি লালন শাহ কলেজে হয় এই আয়োজন। কলেজের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্টলে সাজিয়েছিলেন পিঠা। প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার শেষ দিনে বাড়তি আকর্ষণ ছিল এই পিঠা উৎসব।
আনোয়ার সাদাত উপম নামে দ্বাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নানা রকম পিঠার পসরা সাজিয়েছেন তাদের ‘নকশী পাকান’ নামের স্টলে। তার সঙ্গে রয়েছে সহপাঠী রবিউল ইসলাম, শিমুল হোসেন, রাফিন, সামান্তা, ফারজানা, নাসরিন, ঊষা, জেসিকা তন্ময়, ওভিসহ আরও অনেকে। তাদের স্টলে রয়েছে ইলিশ পিঠা, নকশী পিঠা, ভাপা, ছাঁদ পিঠা, শামুক পিঠা, পাটিসাপটা, সরিষা ভর্তা, গ্রিল, মালাই রোলসহ ২৫ রকমের পিঠা।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ শরিফুজ্জামান বলেন, বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা এবং পিঠা উৎসবে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত এবং নতুন প্রজন্মকে বাঙালিয়ানার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্যই এই উৎসব। এটি করতে পেরে আমরা আনন্দিত। তিনদিনের এই আয়োজন ছিল উৎসবমুখর।  
গাইবান্ধা 
নিজস্ব সংবাদদাতা গাইবান্ধা থেকে জানান, ‘শীতের পিঠা ভারি মিঠা’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে গাইবান্ধা সরকারি কলেজের বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাসের আয়োজনে বৃহস্পতিবার কলেজ চত্বরে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হলো শীতের পিঠা উৎসব। 
হোস্টেল সুপার আনিছা আখতার বেগম চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর খলিলুর রহমান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সারোয়ার হোসেন চঞ্চল, আনোয়ার হোসেন, এবিএম জিল্লুর রহমান, শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক আবদুল কাইয়ুম আজাদ, সহকারী হোস্টেল সুপার ইফতেখারুর রহমান, অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, মাসুদুর রহমান, মাহমুদুল হক শাহাজাদা, আখি আকবর মিয়া, আফজাল হোসেন, আকবর হোসেন, শামসুল আলম, মোকসেদুর রহমান (সাহান), রনজিৎ বকশি, নয়ন মিয়া প্রমুখ।

×