ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

আরএমপি কমিশনার

ভোটকেন্দ্র দখল করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী

প্রকাশিত: ২১:৩৭, ৬ জানুয়ারি ২০২৪

ভোটকেন্দ্র দখল করতে চাইলে কঠোর ব্যবস্থা

ভোটের সরঞ্জাম পুলিশ ও আনসার পাহারায় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে

এবার কেউ কেন্দ্র দখল করে জাল ভোট দিতে পারবে না। ভোটে কোনো ধরনের জালিয়াতিও হবে না। হবে না মানে হবে না। ভোট হবে ভোটের মতো। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব- এর ব্যতিক্রম হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ শনিবার সকালে ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী পুলিশ ও আনসার সদস্যদের এমন নির্দেশনা দিয়েছেন, রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার। সকালে রাজশাহীর হাজি মোহাম্মদ মুহসিন স্কুলমাঠে প্যারেড ব্রিফিংয়ে তিনি এই নির্দেশ দেন।
আরএমপি কমিশনার বিপ্লব বিজয় তালুকদার বলেন, ‘কোনো ভোটারকে কেউ কোনো বাধা দিতে পারবে না। ভোটার ভোটকেন্দ্রে যাবেন, নিজের মতো করে ভোট দিয়ে বের হবেন। মাঝখানে কেউ বাধা দিতে গেলে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। ওসিদের প্রতি নির্দেশ থাকল, ভোটকেন্দ্রে কেউ ফৌজদারি অপরাধ করলে সঙ্গে সঙ্গে তার বিরুদ্ধে মামলা করতে হবে। এর পাশাপাশি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন। অপরাধ বিবেচনায় তারা ভ্রাম্যমাণ আদালতে বিচার করে সাজা দেবেন। তা না হলে থানায় মামলা হবে।

আমরা বিশ্ববাসীকে দেখিয়ে দেব যে, নির্বাচন কমিশনের অধীনেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব।’ পুলিশ কমিশনার বলেন, ‘একটা কথা আছে যে, রাতে ভোট হয়ে যায়। তাই এবার ব্যালট যাবে ভোটের দিন সকালে। এই ভোট বাধাগ্রস্ত করতে একটি মহল নানা কর্মকাণ্ড করতে পারে। তাদের মোকাবিলার জন্য পুলিশ ও আনসার বাহিনীর প্রতিটি সদস্যকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

কেউ যেন কোনো ধরনের ব্যাগ কিংবা টিফিন ক্যারিয়ার নিয়ে ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে না পারে।’ এই প্যারেডে ২ হাজার ১৯৫ পুলিশ সদস্য ও ১ হাজার ৩৪৪ আনসার সদস্য অংশ নেন। ভোটকেন্দ্রে তারা কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন, সে বিষয়ে তাদের দিকনির্দেশনা দেন রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার। পরে পুলিশ ও আনসার সদস্যরা রাজশাহীর বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রের দিকে রওনা দেন। ব্রিফিং প্যারেডে আরএমপির অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
আরএমপির অধীনে এবার সদর আসনসহ চারটি সংসদীয় এলাকা পড়েছে। ভোটকেন্দ্র রয়েছে ২১৩টি। এর মধ্যে ২৪টি ছাড়া অন্য সব কেন্দ্রগুলোকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রেই ১২ জন করে আনসার সদস্য থাকবেন। আর সাধারণ ভোটকেন্দ্রে তিনজন ও গুরুত্বপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে চারজন করে পুলিশ সদস্য থাকবেন। এ ছাড়া পুলিশের ৪৭টি মোবাইল টিম, ২০টি স্ট্রাইকিং টিম, কুইক রেসপন্স টিম এবং আরএমপির বোম ডিসপোজাল ইউনিট মাঠে থাকবে।

এ ছাড়া র‌্যাবের চারটি দল, সাত প্লাটুন বিজিবি, চার প্লাটুন আনসার ও ছয় প্লাটুন সেনা সদস্য টহলে থাকবে রাজশাহীতে। এদিকে ৭ জানুয়ারি ভোটের মাঠে থাকবেন জুডিসিয়াল এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরাও। শনিবার সকাল থেকেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে দেখা গেছে। রাজশাহী মহানগরীর প্রতিটি প্রবেশমুখ এবং গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে দায়িত্ব পালন করছেন সেনা সদস্যরা।

×