ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ময়মনসিংহ জেলা

বেশ কয়েকটি আসনে ঝুঁকিতে নৌকা

বাবুল হোসেন, ময়মনসিংহ

প্রকাশিত: ০০:১৮, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩

বেশ কয়েকটি আসনে ঝুঁকিতে নৌকা

আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন

ময়মনসিংহের বেশিরভাগ আসনেই এবারের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকায় এই ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। ফলে নৌকা প্রতীক পাওয়ার পরও জয় নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় পড়েছেন অনেকে। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতৃবৃন্দের অনেকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্য অবস্থান নিয়ে অস্পষ্টতা এই অনিশ্চয়তাকে আরও বাড়িয়ে তুলছে। তবে ময়মনসিংহের অন্তত ৩টি আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা এই ক্ষেত্রে আছে নির্ভার অবস্থায়।

আর ২টি আসন জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়ায় সেখানকার প্রার্থীরাও আছেন অনেকটা স্বস্তিতে। এরকম স্বস্তি আর অস্বস্তি নিয়েই নির্বাচনী প্রচারে উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে এখন ময়মনসিংহ। প্রতীক পাওয়ার পর থেকে পোস্টারে ছেয়ে গেছে প্রতিটি নির্বাচনী এলাকা। নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে মাইকিং আর মিছিলে জমে উঠেছে ভোটের উৎসব। নির্বাচনী উত্তাপ আর জোয়ারে ভাসছে গোটা ময়মনসিংহ। নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই এগিয়ে আসছে ততই এই উত্তাপ বাড়ছে।

ভারত সীমান্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া নিয়ে ময়মনসিংহ-১ আসন। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এই আসনটি দীর্ঘদিন ধরে দখলে রাখেন প্রয়াত প্রমোদ মানকিন। প্রমোদ মানকিনের মৃত্যুর পর পুত্র জুয়েল আরেং এই আসনে এমপি হন। এবারের নির্বাচনেও জুয়েল আরেং নৌকা প্রতীক পেয়ে মাঠে নেমেছেন। বিপরীতে এই আসনে আওয়ামী লীগ থেকে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন হালুয়াঘাট উপজেলা পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক সায়েম। আদিবাসী অধ্যুষিত এই আসনে তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মার্শেল মালেশ চিরান রয়েছেন।

আদিবাসী সমাজের ভোট ভাগাভাগিসহ আওয়ামী লীগের ভোট ভাগাভাগির সমীকরণে নতুন প্রজন্মের তরুণ জনপ্রিয় প্রার্থী মাহমুদুল হক সায়েম আছেন সুবিধাজনক অবস্থানে। যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে উন্নয়ন বঞ্চনার শিকার এই আসনের বেশিরভাগ ভোটার পরিবর্তনের হাওয়ায় দুলছে। ফলে এ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এবারের নির্বাচনে ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের একাংশের ভোট ছাড়াও ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ভোট ব্যাংক রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহমুদুল হক সায়েমের।
একই অবস্থা ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর) আসনেও। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দাপটে মহাঝুঁকিতে আছেন এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নতুন মুখ গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী প্রয়াত মাহবুবুল হক শাকিলের স্ত্রী নীলুফার আনজুম পপি। এ আসনে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির নেতা সোমনাথ সাহা, ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা নাজনীন আলম, সাবেক ছাত্র নেতা শরীফ হাসান অনু ও মোর্শেদুজ্জামান সেলিম।

নির্বাচন ঘিরে গৌরীপুর আওয়ামী লীগ বহুধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভোট ভাগাভাগির সমীকরণে এগিয়ে আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সোমনাথ সাহা। প্রায় ১০ হাজার সংখ্যালঘু ভোটারও এ আসনে ফ্যাক্টর। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের অনেকেই মনে করছেন ছাত্রলীগ থেকে উঠে আসা গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোমনাথ সাহার নেতৃত্বে সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে গৌরীপুর আওয়ামী লীগ। দলের নেতা কর্মী ও সমর্থকসহ গৌরীপুরের নানা শ্রেণি পেশার মানুষের সব সময় পাশে থেকে সহায়তা দিয়েছেন সোমনাথ সাহা।

আসন্ন নির্বাচনে গৌরীপুরের ভোটার এসবের মূল্যায়ন করবে বলে জানান সোমনাথ সাহা। তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী নীলুফার আনজুম পপি জানান, গৌরীপুর নৌকার ঘাঁটি। নৌকা পাগল গৌরীপুরের মানুষ আগামী ৭ জানুয়ারি সেটি প্রমাণ করবে।
মর্যাদাপূর্ণ ময়মনসিংহ-৪ (সদর) আসনেও অনেকটা সুবিধাজনক অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন আওয়ামী লীগের ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ব্যবসায়ী নেতা আমিনুল হক শামীম। আওয়ামী লীগের একটা অংশ ছাড়াও ব্যবসায়ী ও পরিবহন মালিক শ্রমিকদের বেশিরভাগই সমর্থন দিচ্ছেন ময়মনসিংহ চেম্বার অব কর্মাসের সভাপতি ও ময়মনসিংহ জেলা মোটর মালিক সমিতির সাবেক সভাপতি স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক শামীমকে। ময়মনসিংহ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও ময়মনসিংহ মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকরামুল হক টিটুর সহোদর বড় ভাই এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক শামীমকে সিটি কর্পোরেশনের সাবেক ও বর্তমান অনেক কাউন্সিলর, বিভিন্ন ইউনিয়নের সাবেক ও বর্তমান অনেক ইউপি চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাবেক ও বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ্য ও তলে তলে সমর্থন দেওয়ার কারণে ঝুঁকিতে আছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহিত উর রহমান শান্ত। যদিও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোহিত উর রহমান শান্ত জানিয়েছেন, ময়মনসিংহ সদর নৌকার ঘাঁটি। অতীতেও নৌকার সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে কেউ জয়ী হতে পারেননি। এবারেও তার ব্যত্যয় ঘটবে না। নৌকার জয় নিশ্চিত।
ময়মনসিংহ-৫ (মুক্তাগাছা) আসন আওয়ামী লীগ ছেড়ে দেওয়ায় এ আসনে  জাতীয় পার্টি থেকে প্রার্থী হয়েছেন সাবেক এমপি সালাহ উদ্দিন আহমেদ এমপি। কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে এ আসনে নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই আকন্দ সরে গেলেও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম ও বদর আহমেদ লড়ছেন ভোটে। এক সময়কার রওশন এরশাদপন্থি সাবেক এমপি সালাহ উদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে নিজ দলের নেতাকর্মী ও সমর্থক ছাড়া এলাকার নানা শ্রেণি পেশার মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চাকরি দিতে পারেননি বলে নানা অভিযোগ রয়েছে। প্রতারণার এই অভিযোগ ইতোমধ্যে আদালতে গড়িয়েছে। আওয়ামী লীগ এ আসন ছেড়ে দিলেও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের গ্রহণযোগ্যতাসহ জাতীয় পার্টির কর্মীদের ক্ষোভের কারণে ঝুঁকিতে পড়েছেন সালাহ উদ্দিন মুক্তি। রওশন এরশাদপন্থি নেতাকর্মীরাও তাকে নিয়ে বিব্রত ও ক্ষুব্ধ। আসন্ন নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে।
আওয়ামী লীগের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ময়মনসিংহ-৭ (ত্রিশাল) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন পেয়েছেন একাধিকবারের এমপি হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন মাদানী। ত্রিশাল পৌরসভার জনপ্রিয় মেয়র এবিএম আনিছুজ্জামান পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগ থেকে ট্রাক প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন এ আসনে। বয়োবৃদ্ধ এমপি হাফেজ মাওলানা রহুল আমিন মাদানীর জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী।

ত্রিশাল উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ওয়ার্ড ও পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতা কর্মীদের একটা বড় অংশ সমর্থন দিয়েছে এবিএম আনিছুজ্জামানকে। উন্নয়ন বঞ্চনায় ক্ষুব্ধ ত্রিশালের নানা শ্রেণি পেশার মানুষসহ ত্রিশালের আলেম উলামা ও নতুন প্রজন্মের তরুণ ভোটাররা স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বেছে নিতে চাচ্ছে। প্রচারেও এগিয়ে রয়েছেন পরিশ্রমী ত্রিশাল পৌরসভার উন্নয়নের রূপকার স্বতন্ত্র প্রার্থী এবিএম আনিছ্জ্জুামান।
ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসন আওয়ামী লীগ ছেড়ে দেওয়ায় জাতীয় পার্টির জিএম কাদেরপন্থি এমপি ফখরুল ইমাম প্রার্থী হয়েছেন। গত ৩ টার্ম ধরে এ আসনের এমপি থাকাকালীন এলাকাবাসীর প্রত্যাশিত দৃশ্যমান  উন্নয়ন করতে পারেননি এক সময়কার রওশন এরশাদপন্থি ফখরুল ইমাম। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ ছাড়াও রওশনপন্থি নেতাকর্মী সমর্থকরা ক্ষুব্ধ। এ আসনে আওয়ামী লীগের ঈগল পাখি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী উপজেলা পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান সুমন নির্বাচনী বৈতরণী পার হতে মাঠঘাট চষে বেড়াচ্ছেন। ভোটের সমীকরণে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম এমপি আসন্ন নির্বাচনে নিজ দলের ক্ষোভ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর জনপ্রিয়তার কারণে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন বলে জানিয়েছে ভোটাররা।
ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে ঋণ খেলাপি নিয়ে নানা নাটকীয়তার পর প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক এমপি অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আব্দসু সালাম। এ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে ঈগল পাখি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান এমপি আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহীন। এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন করলেও মনোনয়ন পাননি তুহিন। দ্বিধাবিভক্ত নান্দাইল আওয়ামী লীগের দলের নেতা কর্মীদের একাংশসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ তরুণ প্রজন্মের স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বেছে নিতে চান। ভোটের এমন সমীকরণে নৌকা প্রতীকের বয়োবৃদ্ধ প্রার্থী জেনারেল সালাম এবারের নির্বাচনে ঝুঁকিতে পড়বেন বলে জানায় এলাকাবাসী। যদিও জেনারেল সালাম সমর্থকদের দাবি, বর্তমান এমপি আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহীনের মেয়াদে উন্নয়ন বরাদ্দ নিয়ে নয়ছয় হয়েছে। এ কারণে নান্দাইলবাসী সৎ ও যোগ্য নেতা জেনারেল সালামকে বেছে নিতে চায়।
ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে আবার মনোনয়ন পেয়েছেন কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু এমপি। তার মেয়াদে এলাকাবাসীর প্রত্যাশিত উন্নয়ন হয়নি। নানাকা-ে একাধিকবার এই এমপি জাতীয় পত্রিকার শিরোনাম হয়েছেন। এ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিপরীতে ঈগল পাখি প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ভালুকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা এবং ব্যবসায়ী এম এম ওয়াহেদ। স্বতন্ত্র এই দুই প্রার্থীর পক্ষেই আছে ভালুকা আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ। অনেকটাই একা হয়ে পড়া আওয়ামী লীগ প্রার্থী কাজিম উদ্দিন আহমেদ ধনু ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে দাবি স্থানীয়দের। ভোট সমীকরণে এ আসনে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী এম এ ওয়াহেদ।
ময়মনসিংহের বেশিরভাগ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীসহ জোটের প্রার্থীরা জনপ্রিয় স্বতন্ত্র প্রার্থীদের কাছে ধরাশায়ী হওয়ার আশঙ্কা করা হলেও ফুলপুর ও তারাকান্দা নিয়ে গঠিত ময়মনসিংহ-২ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এমপি, ময়মনসিংহ-৬ ফুলবাড়িয়া আসনে নৌকার প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোসলেম উদ্দিন এমপি ও ময়মনসিংহ-১০ গফরগাঁও আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফাহমি গোলন্দাজ বাবেল এমপি আছেন অনেকটাই নির্ভার ও সুবিধাজনক অবস্থায়। এ ৩টি আসনে নৌকার প্রার্থীরা সহজেই জয় ঘরে তুলবেন বলে জানিয়েছে এলাকার ভোটাররা। কারণ এ ৩টি আসনে আওয়ামী লীগের কোন্দল ও বিভক্তি থাকলেও শক্তিশালী কোনো স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই।

×