কাউন্সিলর টিপু সুলতান
জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনায় মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহের পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর টিপু সুলতান ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে ঝিনাইদহের গোবিন্দপুর এলাকায় সীমানাপ্রাচীর নির্ধারণে পেশি ক্ষমতা দেখাতে গিয়ে কাউন্সিলরের পেটুয়া বাহিনীর আঘাতে মাথা ফেটেছে দুই জনের। আহতরা বর্তমানে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কমিশনারের নির্দেশেই মারধরের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) এই ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের পক্ষে ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, পবহাটি মৌজায় জমি মাপের সময় আগে থেকেই দেশীয় অস্ত্র, লাঠি, রড নিয়ে অবস্থান করছিলেন মো. তরিকুল ইসলাম, মো. জাকির হোসেন, তারিকসহ একাধিক ব্যক্তি। জমি মাপের শেষ পর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড দিয়ে নাসিরুল ইসলাম ও তানজিমুজ্জামান তনুর মাথায় আঘাত করে। এছাড়াও হামলার ঘটনায় একাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সাংবাদিক মো. সাদিদুল ইসলাম জানান, জমি মাপের শেষ পর্যায়ে হঠাৎ করেই তারা আমাদের উপর চড়াও হয়। এসময় আমি মোবাইলে ভিডিও করতে থাকলে পরে আমাকে রড দিয়ে মেরে মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ৫ ঘণ্টা পর তারা মোবাইল ফেরত দিলেও সব ছবি ও ভিডিও মুছে দেয়া হয়।
মামলার বাদী ইয়ারুল ইসলাম জানান, মামলার পর থেকেই কাউন্সিলর ও তার অনুসারীরা হুমকি দিচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এ বিষয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি।
জানতে চাইলে কাউন্সিলর টিপু সুলতান মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, আমি একজন কাউন্সিলর। তারা আমাকে সম্মান দেখায়নি। যেকারণে আমার অনুসারীরা তাদের উপর চড়াও হয়। মারামারির সময় দুই পক্ষের মানুষই মার খেয়েছেন বলে দাবি করেন। তবে তার কোন কর্মী সমর্থক মার খেয়েছেন তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোহেল রানা বলেন, এই ঘটনায় বুধবার (১৩ আগস্ট) থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের মধ্যে এখন পর্যন্ত মো. জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বাকী আসামীদের ধরতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
এমএম