ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

নেত্রকোনার চাঞ্চল্যকর রাজীব হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন॥ ২ খুনী গ্রেফতার

নিজস্ব সংবাদদাতা, নেত্রকোনা

প্রকাশিত: ১২:০০, ২ নভেম্বর ২০২২

নেত্রকোনার চাঞ্চল্যকর রাজীব হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন॥ ২ খুনী গ্রেফতার

রাজীব হত্যার ২ খুনী গ্রেফতার

মোহনগঞ্জ উপজেলার চাঞ্চল্যকর রাজীব হত্যা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দীর্ঘ তদন্তের পর সংস্থাটি নিশ্চিত হয়েছে, ইয়াবা ব্যবসায় সহযোগিতা না করার জেরেই ভাড়াটে খুনী দিয়ে তাকে হত্যা করানো হয়েছে। আর এ হত্যা- মিশনে অংশ নিয়েছে আটজন। এদের মধ্যে গত দুদিনে দুজনকে গ্রেফতারও করেছে পিবিআই। পিবিআইয়ের জেলা কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুর কবির মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান। এ সময় সংস্থাটির পরিদর্শক অভিরঞ্জন দে ও জাকির হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, গত বছরের ৭মে মোহনগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে রেজাউল করিম ওরফে রাজীবের লাশ উদ্ধার করা হয়। একই উপজেলার দেওথান গ্রামের বাচ্চু মিয়ার ছেলে রাজীব ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। তার মৃত্যুর পর বাচ্চু মিয়া ১২জনকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এদের অনেককে গ্রেফতার করা হলেও প্রকৃত রহস্য উদ্ঘাটিত হচ্ছিল না। পরে পিবিআই মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব নেয়। 

তদন্তে সংস্থাটি নিশ্চিত হয়, মোহনগঞ্জের হাটনাইয়া গ্রামের ইয়াবা ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান, মাহবুব ও আবুল হোসেন এ হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। তারা রাজীবের মোটরসাইকেলে এলাকায় ইয়াবা আনা-নেয়া করতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজীব রাজি হননি। এতে তারা রাজীবের প্রতি ক্ষুব্ধ হয় এবং তাকে মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয়। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ওরফে দিলুকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা দেয়। ওই টাকার বিনিময়ে দিলু ও তার সঙ্গীরা হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়।

 দিলু ছাড়াও রাজীব হত্যায় জড়িত অন্য সাতজন হচ্ছে: মিজানুর রহমান, মাহবুব, আবুল হোসেন, আনোয়ার হোসেন, যতন মিয়া, কলমাকান্দার শুক্কুর ও তারাকান্দার নলদীঘি গ্রামের সিরাজুল। পিবিআই জানায়, ঘটনার দিন আনোয়ার ও শুক্কুর যাত্রী সেজে রাজীবকে ভাটিয়া গ্রামের শেখ ইসলামের পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। বাকিরা আগে থেকেই সেখানে ওঁৎ পেতে ছিল। এরপর আটজন মিলে তাকে এলোপাথারি পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে সিমেন্টের জমাটবাঁধা পাথরের সঙ্গে বেঁধে লাশ পুকুরে ফেলে দেয়। 

পিবিআইয়ের পরিদর্শক জাকির হোসেন জানান, পুকুরের পাহাড়দার যতন মিয়াকে গত সপ্তাহে গ্রেফতার করা হলে সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেয়। তার দেয়া তথ্যানুযায়ী সোমবার রাতে ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থেকে দিলু ও মঙ্গলবার হাটনাইয়া গ্রাম থেকে মাহবুবকে গ্রেফতার করা হয়। দিলুও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। মাহবুবকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। 

টিএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×