স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি নিয়ে এমনিতেই দুর্ভোগে আছে নগরবাসী। পাচ্ছে না শতভাগ পানির সরবরাহও। এমন পরিস্থিতিতে মাত্র পাঁচমাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়দফায় পানির দাম বাড়াতে চায় চট্টগ্রাম ওয়াসা। বোর্ড সদস্যদের আপত্তি সত্ত্বেও অতিরিক্ত উৎপাদন ব্যয় আর বিদেশী ঋণের দায় মেটানোর অজুহাতে দাম বৃদ্ধির এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে। চলতি বছরের মার্চে গ্রাহক পর্যায়ে পাঁচ শতাংশ পানির দাম বাড়ায় চট্টগ্রাম ওয়াসা। পাঁচ মাসের ব্যবধানে আবারও দাম বাড়াতে চায় সংস্থাটি। মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুসারে আবাসিকে প্রতি হাজার লিটার পানির দাম ৯ টাকা ৯২ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা এবং অনাবাসিকে ২৭ টাকা ৫৬ পয়সা থেকে ৪০ টাকা করার প্রস্তাব দেয়া হয়। সব মিলে দাম বাড়বে ৬০ শতাংশ। পাইপ লাইন স্থাপনের কাজে একাধিকবার রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। তাছাড়া এখনও নিশ্চিত হয়নি শতভাগ পানি সরবরাহ। ফলে এমনিতেই ক্ষুব্ধ নগরবাসী। এরমধ্যে দাম বাড়ালে এই ক্ষোভ আরও বাড়বে, তাই এ প্রস্তাবে আপত্তি জানান খোদ বোর্ড সদস্য মহসিন কাজী। এছাড়া এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন ক্যাব সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন। তবে এই আপত্তি উপেক্ষা করেই দাম বাড়াতে চায় ওয়াসা। ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহর অজুহাত, সংস্থাটির ওপর এখন ঋণের বোঝা সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকা। যা পরিশোধ করতে হবে ২০২২ সাল থেকে। তাই দাম বাড়ানো ছাড়া বিকল্প নেই।
চট্টগ্রামে দৈনিক পানির চাহিদা ৫০ কোটি লিটারের বেশি। কিন্তু ওয়াসা ৭০ হাজার গ্রাহককে দিতে পারছে সাড়ে ৩৫ কোটি লিটার পানি।