ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে ধুলিঝড়-বৃষ্টি, নিহত ৩

প্রকাশিত: ০৮:৪২, ৪ এপ্রিল ২০২০

কক্সবাজারে ধুলিঝড়-বৃষ্টি, নিহত ৩

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ কালবৈশাখী ঝড়ে কক্সবাজার জেলাজুড়ে বয়ে গেছে ধুলিঝড়। এখন শুস্ক মৌসুম হওয়ায় দমকা হাওয়া শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুরো এলাকা ধুলাবালিতে অন্ধকারে ঢেকে যায়। ৪০ কিলোমিটার বেগের এই ‘ধুলিঝড়ে’ মনে হচ্ছিল, করোনার এই দু:সময়ে আরও এক বিপদ যেন কক্সবাজারবাসির উপর নেমে আসলো। ঘড়ির কাটায় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এই দমকা হাওয়া শুরু হয়। কিছুক্ষণ পর সেই দমকা হাওয়া বজ্রপাতের সঙ্গে মিশে বৃষ্টি ঝরিয়ে পুরো কক্সবাজার জেলাকে শান্ত ও স্নিগ্ধ করে দেয়। মহেশখালীতে বজ্রপাতে প্রাণ হারায় তিন লবণচাষী। কক্সবাজার আবহাওয়া দফতরের উচ্চ পর্যবেক্ষক আবু মুহসিন জানান, শনিবার কক্সবাজার জেলার কোন কোন স্থানে দমকা হাওয়ার পূর্বাভাস ছিল। এটি ছিল সে রকমই একটি বজ্রসহ দমকা হাওয়া। এই সময়ে সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে গেছে। তবে সর্বোচ্চ গতির স্থায়িত্ব ছিল অল্পক্ষণ। এই দমকা হাওয়ায় জেলার কোথাও কোথাও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শনিবার বিকেল সোয়া তিনটার দিকে দমকা হাওয়া শুরু হয়। শহরসহ জেলাব্যাপী হঠাৎ দমকা হাওয়ার সঙ্গে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিও হয়েছে। প্রায় ৩০ মিনিটের মতো স্থায়ী দমকা হাওয়ায় ছোটখাটো অনেক ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। উল্টে গেছে বসতবাড়ির ছাউনি। মাটির সঙ্গে মিশে গেছে ঘেরাবেড়া ও শত শত পানের বরজ। শহরের কলাতলী, লাইট হাউজ, সমিতিপাড়া, আলীর জাঁহাল, টেকপাড়া, বড়বাজার, রুমালিয়ারছরা, বিজিবি ক্যাম্প, ঘোনারপাড়া, সিকদারপাড়াসহ অনেক এলাকার বাসিন্দা তাদের ছোটখাটো দোকানঘর, বসতবাড়ি ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন। চকরিয়া উপজেলার খুটাখালী, গর্জনতলী, নয়াপাড়া, সদরের ইসলামপুরের খানঘোনা, নাপিতখালী বটতলী, নতুন অফিস, ভারুয়াখালী, চৌফলদন্ডি, খুরুশকুল, রামুর ঈদগড়, গর্জনিয়াসহ অনেক গ্রামীণ জনপদে হঠাৎ সৃষ্ট দমকা হাওয়া আঘাত হেনেছে বলে সেখানকার বাসিন্দারা জানিয়েছে। অনেকের জমা করা ও মাঠে পড়ে থাকা উৎপাদিত লবণ নষ্ট হয়ে গেছে। রামু ঈদগড়ের বাসিন্দা মোহাম্মদ ইউসুফ জানিয়েছেন চরপাড়ার মরহুম হাজ্বী আমির হামজার বসতভিটায় বজ্রপাত হয়। এতে অনেক গাছ চিড়ে পুড়ে গেছে। তবে, হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আলীর জাঁহাল এলাকার বাসিন্দা রুহুল আমিন সিকদার জানিয়েছেন, হঠাৎ দমকা হওয়ার কারণে কিছু গরীব অসহায় মানুষের ঘরের টিন ও ছনের চাল উড়ে গেছে। শহরের বাহারছরার বাসিন্দা ও জেলা জাপার সাধারণ সম্পাদক মুফিজুর রহমান মুফিজ জানিয়েছেন, হঠাৎ এমন দমকা হাওয়া জীবন তিনি দেখেন নি। করোনার আতঙ্কের এই সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষেদের মাঝে জরুরীভিত্তিতে সাহায্য পৌঁছে দেয়ার দাবি তুলেছেন তিনি।
×