নিজস্ব সংবাদদাতা, চুয়াডাঙ্গা ॥ চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা জয়নগর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে তৎপরতা। তবে চেকপোস্টে এখনো থার্মাল স্ক্যানার স্থাপিত হয়নি। শুধুমাত্র ভারত থেকে ফিরে আসা যাত্রীদের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রাথমিক জিজ্ঞাবাদ ও যাত্রীদের ইনফ্রারেড থার্মোমিটার দিয়ে তাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হচ্ছে।
প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দুদেশের যাত্রীরা এ ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে যাতায়াত করেছে। নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় থেকে ৬ জন মেডিকেল অফিসারসহ ৭জন উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও ১জন সেনেটারি এবং ১জন সহকারি স্বাস্থ্য পরিদর্শক এ চেকপোস্টে কাজ করছে। যাত্রীদের পূর্বের রোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রত্যেক যাত্রীর কাছ থেকে তাদের ব্যাক্তিগত মোবাইল ফোন নম্বর নথিভূক্ত করা হচ্ছে।
ভারতে থেকে ফেরা যাত্রী কুষ্টিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি রেজিস্টার জাহিদুল ইসলাম ও তার পরিবারের দুসদস্য, নাটোরের লালবাজারের মনোতোষ রায় ও তার পরিবার এবং ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা রতন কুমার রায়, কৃষ্ণা রায় ও পূজা রায়সহ তাদের পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে তাদের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা হয়। তারা বলেন, এ ব্যবস্থাটি ভাল। এতে করে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হবে।
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. তানভীর মো: আসিফ মুজতবা বলেন, চুয়াডাঙ্গার দর্শনা জয়নগর ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে মেডিক্যাল টিম যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য প্রাথমিক কাজ গুলো চালিয়ে যাচ্ছ। যদি অস্বাভাবিক কোন রোগী পাওয়া যায় তখন তার ব্যাপারে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
