ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

চাকরী রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে পঞ্চগড়ে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ০৪:২৩, ২৯ জানুয়ারি ২০২০

চাকরী রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে পঞ্চগড়ে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার, পঞ্চগড় ॥ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরে কর্মভাতায় চাকরী করা ১ হাজার ২২২ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর চাকুরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে পঞ্চগড় যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ক্যাম্পাসে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে কর্মভাতায় চাকরী করা কর্মকর্তা কর্মচারীরা। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মৎস্য ট্রেডের প্রশিক্ষক সোহরাব হোসেন, ইলেক্ট্রিক্যাল ট্রেডের প্রশিক্ষক আবু সায়েম বসুনিয়া, ইলেক্ট্রনিক্স ট্রেডের সহকারী প্রশিক্ষক আমিনুল ইসলাম ও রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়্যার কন্ডিশনিং ট্রেডের সহকারী প্রশিক্ষক সেলিম রেজা। তাদের দাবির সাথে একাত্মতা পোষণ করে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্বাস আলী। এ সময় বক্তারা জানান যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের অধিনে পাঁচটি প্রকল্পের বেসিক কম্পিউটার, ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড হাউজ ওয়্যারিং, ইলেক্ট্রনিক্স, রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার কন্ডিশনিং, গবাদি পশুপালন, হাঁস মুরগী, মৎস্য চাষ, কৃষি এবং প্রাথমিক চিকিৎসাসহ ৭ টি ট্রেডে সারা দেশে ১ হাজার ২২২ জন কর্মকর্তা কর্মচারী প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর শুধুমাত্র সামান্য কর্মভাতায় কাজ করে আসছেন। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে এসে তাও অনিয়মিত হয়ে গেছে। বেকার যুবকদের কারিগরী প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুললেও তাদের জীবন কাটছে এখন টানাপোড়েন ও অর্থকষ্টে। তাই তারা মুজিব বর্ষে তাদের চাকুরি রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবি জানিয়েছেন। পঞ্চগড় যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মৎস্য ট্রেডের প্রশিক্ষক সোহরাব হোসেন বলেন, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ২৬ টি নতুন যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (১ম ও ২য় পর্যায়) স্থাপন প্রকল্প, ১৮ টি নতুন যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প (১ম পর্যায় ৮ টি) ও বেকার যুবদের কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রকল্পের মেয়াদ ২০০৬ সালে শেষ হয়ে যায়। এছাড়া বগুড়া আঞ্চলিক যুব কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পটি ২০০৭ সালে এবং অবশিষ্ট জেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রকল্পটির মেয়াদ ২০১১ সালে শেষ হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রকল্পগুলোর নিয়োগকৃত কর্মকর্তা কর্মচারীরা সামান্য কর্মভাতায় চাকরী করে আসছেন। তাও আবার অনিয়মিত। অনিয়মিত ও সামান্য কর্মভাতা পাওয়ায় এখন আমরা দেশের ১ হাজার ২২২ জন কর্মকর্তা কর্মচারী মানবেতর জীবন যাপন করছি। বর্তমান সরকারের আন্তরিকতায় ৬ টি প্রকল্পের মধ্যে একটি প্রকল্পের কর্মকর্তা কর্মচারীর চাকুরি ২০১৩ সালে চাকরী রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হলেও এখনো বাকি পাঁচটি প্রকল্পের কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকরী রাজস্ব খাতে স্থানান্তর করা হয়নি। তাই আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এই মুজিব বর্ষে আমাদের চাকরী রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।
×