ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মণিরামপুরে নতুন রাস্তায় ফাটল!

প্রকাশিত: ০২:৪৩, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯

মণিরামপুরে নতুন রাস্তায় ফাটল!

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ মণিরামপুরের টেংরামারী-জালালপুর গ্রামীণ সড়কটি পাকাকরণের এক বছর পূর্ণ না হতেই ফাটল দেখা দিয়েছে। রঘুনাথপুরের সাধন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে থেকে রিফিউজিপাড়া পর্যন্ত কয়েক জায়গায় রাস্তাটি মাঝ বরাবর ফেটে গেছে। ঠিকাদার দায়সারাভাবে কাজ শেষ করায় কয়েক মাসের মধ্যে রাস্তাটির এমন বেহাল দশা হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। আর উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের দাবি, ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত পণ্যবোঝাই ট্রাক চলাচলের কারণে রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির মুখে সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য দুই হাজার ১০০ মিটার দীর্ঘ এই সড়কটি পাকাকরণের প্রতিশ্রুতি দেন। সেই অনুযায়ী এক কোটি ৫১ লাখ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটি পাকাকরণের কাজ পায় ‘বিশ্বজিৎ কন্সট্রাকশন’ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। গত বছরের শেষ দিকে কাজ শুরু হয়। নিম্নমানের ইট দিয়ে কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। পরে এলাকাবাসীর বাধার মুখে কাজ বন্ধ করে দেন তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলী আবু সুফিয়ান। খারাপ ইট সরিয়ে মানসম্মত ইট দিয়ে কাজ করার জন্য ঠিকাদার বিশ্বজিৎ দাসকে চিঠি দেন তিনি। তখন জনগণের আই ওয়াশ করতে নামমাত্র কয়েক ট্রলি ইটের খোয়া সরিয়ে নেওয়া হয়। এরপর দুই-তিন মাস বিরতি দিয়ে স্থানীয় কয়েক প্রভাবশালীকে ‘ম্যানেজ’ করে আবার কাজ শুরু করেন ঠিকাদার। চলতি বছরের মার্চ মাসের দিকে সড়কটি পাকাকরণের কাজ শেষ হয়। স্থানীয়রা বলছেন, রাস্তটি অনেক সরু ছিল। নতুন মাটি ফেলে রাস্তা চওড়া করা হয়েছে। কিন্তু মাটি ঠিকমতো না রোলিং করে রাস্তা পাকা করার কাজ শুরু হয়। তাছাড়া খুবই নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে এই রাস্তায়। রাস্তাটি পাকাকরণের সময় দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী গাউসুল আজম বলেন, জালালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এই রাস্তা দিয়ে পাথরবোঝাই ভারী ট্রাক চলাচল করায় রাস্তা ফেটে গেছে। এক বছরের মধ্যে রাস্তা নষ্ট হলে ঠিকাদার ঠিক করে দিতে বাধ্য। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের জামানত সরকারের কাছে জমা রয়েছে। সেই টাকায় রাস্তা সংস্কার করা হবে। জানতে চাইলে ঠিকাদার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘আমি সরেজমিন রাস্তাটি দেখে ফাটল ধরা স্থানগুলো সংস্কার করে দেবো।’ মণিরামপুর উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘রাস্তার যখন কাজ হয় তখন আমি মণিরামপুরে ছিলাম না। খোঁজ নিয়ে দেখছি। ত্রুটি হলে দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা হবে।’
×