ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১

ফেসবুক, গুগলকে অস্ট্রেলিয়ার হুশিয়ারি

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯

ফেসবুক, গুগলকে অস্ট্রেলিয়ার হুশিয়ারি

অনলাইন ডেস্ক ॥ বাজারে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং প্রতিযোগিতায় ক্ষতি না করার বিষয়টি নিশ্চিত করতে ফেসবুক এবং গুগলের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে নতুন নীতিমালা মানতে বলেছে অস্ট্রেলিয়া। নইলে, এগুলো নিয়ন্ত্রণে অন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছে দেশটির সরকার। প্রধান মন্ত্রী স্কট মরিসন বলেন, অস্ট্রেলিয়ান কম্পিটিশন অ্যান্ড কনজিউমার কমিশন (এসিসিসি) একটি আচরণ বিধি তৈরি করবে। বিজ্ঞাপন খাতে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর পোক্ত অবস্থান নিয়ে যে অভিযোগ রয়েছে এই আচরণ বিধির মাধ্যমে সেগুলো সমাধান করা হবে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর আয়ের মূল উৎসই এই বিজ্ঞাপন। মিডিয়া এবং বিজ্ঞাপন সেবার বাজারে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে যাতে ক্ষমতার অপব্যবহার করা না হয় তা নিশ্চিত করবে এই নীতিমালা-- খবর বার্তাসংস্থা রয়টার্সের। “ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, সামাজিক মাধ্যমগুলো আমরা কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করছি, আমি চাই বিশ্বের সামনে তার একটি দারুন মডেল রাখতে,” বলেন মরিসন। ভুয়া খবর এবং ঘৃণামূলক বক্তব্য বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে শুরু করে ইউরোপ এবং অন্যান্য দেশগুলো। এবারে অস্ট্রেলিয়ার এই পদক্ষেপ অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য তৈরি নীতিমালার ফাঁকগুলো আরও কিছুটা চেপে ধরবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ান সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় ২০২০ সালের নবেম্বরের মধ্যে নতুন নীতিমালা মানতে হবে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে। নয়তো তাদেরকে ‘নীতিমালা মানতে বাধ্য করা হবে’। দেশটির অর্থমন্ত্রী জশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, “প্রতিষ্ঠানগুলোকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সরকার তামাশা করছে না। আমরা পদক্ষেপ নিতে দ্বিধা করবো না।” গুগল এবং ফেসবুক উভয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বলা হয়, তারা বড় প্রতিযোগিতাকে সমর্থন করে এবং এসিসিসি’র সঙ্গে একাত্মভাবে কাজ করবে। ফেসবুক এবং গুগল কঠোর এই নীতিমালার বিরোধীতা করলেও এটি সমর্থন করছে রুপার্ট মার্ডকের নিউজ কর্পোরেশনসহ প্রথাগত সংবাদমাধ্যম মালিকরা। অস্ট্রেলিয়ার নেটওয়ার্ক ১০-এর প্রধান নির্বাহী পল অ্যান্ডারসন বলেন, “এটা দারুন যে সরকার অনলাইন প্রযুক্তি এবং স্ট্রিমিং জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর আধিপত্যের গোড়ায় পৌঁছাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিচ্ছে।।” প্রযুক্তি জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর কঠোর হওয়ার ইঙ্গিত কয়েক মাস ধরেই দিয়ে আসছে দেশটি।
×