ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

এবার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এগ্রিকালচারাল কমিশন গঠনের পরামর্শ

প্রকাশিত: ১১:২১, ৬ ডিসেম্বর ২০১৯

এবার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে এগ্রিকালচারাল কমিশন গঠনের পরামর্শ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ‘এগ্রিকালচারাল প্রাইস কমিশন’ গঠনের পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। তাদের অভিমত গণতান্ত্রিক বাজার ব্যবস্থায় ভোক্তারা ন্যায্যদামে পণ্য কিনতে পারবেন। সম্প্রতি পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ক্রেতাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে অস্বস্তি। পণ্য সরবরাহ দ্রুত বাড়িয়ে দাম কমানো উচিত। প্রতিযোগিতামূলক অর্থনীতির কল্যাণে প্রবৃদ্ধি, উৎপাদনশীলতা ও দক্ষতা উন্নয়ন হয়ে থাকে। জিনিসপত্রের দাম কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু দেশের অর্থনীতির পরিসর বড় হলেও প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রগুলোয় বড় ধরনের দুর্বলতা রয়েছে। এজন্য দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির গণতন্ত্রায়ন প্রয়োজন। ব্যবসা-বাণিজ্যের সর্বক্ষেত্রে সুশাসন, স্থিতিশীলতা ও মানবিক উন্নয়ন অপরিহার্য। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সমবায় কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা নীতি’ শীর্ষক এক সংলাপে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। বেসরকারী গবেষণা প্রতিষ্ঠান উন্নয়ন সমন্বয় এই সংলাপের আয়োজন করে। সংস্থার চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গবর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে সংলাপে অংশ নেন প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম, ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক ড. এ কে এনামুল হক, বিআইডিএসের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ, বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশনের সদস্য ড. মোস্তফা আবিদ খান, এফবিসিসিআইর সাবেক উপদেষ্টা মঞ্জুর আহমেদ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মনোজ কুমার রায়, ঢাবির সহকারী অধ্যাপক সেলিনা সিদ্দিকা ও বিএসটিআই প্রতিনিধি আফসোনা হোসেন প্রমুখ। সংলাপে ভোক্তা কল্যাণ নিশ্চিত করার ওপর সর্বোচ্চ জোর দেয়া হয়েছে। এজন্য প্রতিযোগিতা-বিরোধী সব ধরনের তৎপরতা নিষিদ্ধ করে এবং সুষম-িত রেগুলেটরি সেবা নিশ্চিত করে-এমন একটি সার্বিক প্রতিযোগিতা নীতি প্রণয়ন। এই নীতি দ্রুত বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি করা হয়। এক্ষেত্রে সব অংশীজনকে চ্যালেঞ্জগুলো যথাযথভাবে চিহ্নিত করতে হবে। ড. আতিউর রহমান বলেন, বাজারে ক্রিয়াশীল সব পক্ষের মধ্যে ন্যায্য প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার কোন বিকল্প নেই। কারণ ন্যায্য প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা সম্ভব হলে প্রবৃদ্ধি গতিশীল ও বাজার ব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সার্বিক উৎপাদন ক্ষমতা বাড়বে। ফলে ভোক্তাদের কল্যাণ হবে সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেন, প্রতিনিয়ত দেশে জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাচ্ছে। সঠিক বাজার ব্যবস্থাপনার অভাবে পেঁয়াজ ও চালের দাম বেড়েছে। অথচ ভোক্তা স্বার্থ নিশ্চিত করতে হলে অর্থনীতিতে গণতন্ত্রায়ন প্রয়োজন। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ‘এগ্রিকালচারাল প্রাইস কমিশন’ গঠন করা যেতে পারে।
×