ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সারাদেশে পুরোপুরি শীত

প্রকাশিত: ১১:০১, ২০ নভেম্বর ২০১৯

আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সারাদেশে পুরোপুরি শীত

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই সারাদেশে পুরোপুরি শীত নেমে আসতে পারে। তবে এখনই জেঁকে বসছে না। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে দু-একদিনের মধ্যে তাপমাত্রা আরও কমে আসবে। ফলে শীতের প্রভাব বাড়বে। এই সময়ে রাজধানীতে শীত নামতে পারে। এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা। সূর্যের তেজও বেশ কম। এই অবস্থা দু-একদিন চলতে পারে। এই সময়ে তাপমাত্রা আরও কমে আসলে শীত নেমে যাবে। তারা জানায় আকাশে মেঘ থাকলেও এই মুহূর্তে বৃষ্টির কোন সম্ভাবনা নেই। সকাল সন্ধ্যায় হালকা কুয়াশা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন অন্য বছরের তুলনায় এবারও শীতের আগমনী হাওয়া অনেকটা দেরিতে শুরু হয়েছে। সাধারণত অক্টোবরের শেষ সপ্তাহেই শীতের আমেজ শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এবার মধ্য নবেম্বরে এসে গ্রাম বাংলায় শীত নামতে শুরু করলেও রাজধানীতে এর কোন প্রভাব নেই। তবে রাজধানীর বাতাসে চরম ভাবাপন্ন আবহাওয়া কেটে গেছে। নাতিশীতোষ্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তাপমাত্রা আরও করে শীতের অনুভূতি সৃষ্টি হবে। ইতোমধ্যে শেষ রাতে ঠা-া পড়ছে। গত দুদিন ধরে সকালে হাল্কা কুয়াশারও দেখা মিলছে। সূর্যের তেজ কমে গেছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী তিনদিন দেশের তাপমাত্রা আরও কমতে পারে। এই সময়ে আকাশ মেঘলা থাকবে। ফলে তাপমাত্রা কমবে। আজও দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে ইতোমধ্যে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রীর নিচে চলে এসেছে। সর্বনি¤œ তাপমাত্রা এখন ১৬ ডিগ্রী থেকে ২০ ডিগ্রীর মধ্যে রয়েছে। দেশের প্রেক্ষাপটে তাপমাত্রা ১৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস বা এর কম হলে শীতের অনুভূতি সৃষ্টি হয়। তারা জানায় তাপমাত্রা যেভাবে কমছে তাতে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সারাদেশে শীত পুরোপুরি চলে আসবে। এই সময়ে কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে। রাতের বেলা তাপমাত্রা আরও কমার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দিনের বেলা এটি অপরিবর্তিত থাকবে। আগামী তিন দিন রাতের বেলা তাপমাত্রা আরও কমবে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন নবেম্বর মাসের প্রথম দিকে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বেশ কিছু জায়গায় শীতের অনুভূতি সৃষ্টি হয়। তবে এই বছর মৌসুমী বায়ু কিছুটা দেরি করে এসেছিল। গেছে আরেকটু দেরি করে। তাই শীত আসছেও কিছুটা দেরিতে। আবহাওয়াবিদরা উল্লেখ করেছেন এ বছর শুরু থেকে আবহাওয়া ছিল অস্বাভাবিক। আসছে শীতের আবহাওয়ার এর বাইরের নয়। এটাকে তারা এরাটিক ওয়েদার হিসেবে উল্লেখ করে বলেন এরাটিক ওয়েদারের বৈশিষ্ট্য হলো, এর চরিত্র বোঝা যায় না। পূর্বাভাস করা যায় না। আগের চরিত্রের সঙ্গে মেলে না। সারাবিশ্বের মতো এবার গ্রীষ্মকালে বাংলাদেশেও তাপমাত্রা বেশি ছিল। বৃষ্টির পরিমাণ ছিল কম। মৌসুমী বায়ু এসেছে দেরিতে। ফিরে গেছে দেরিতে। এখন আবার শীতও দেরিতে আসছে। শীতে বদলের কুয়াশায় বেশি পড়ে। ফলে দেশে যে ছয় ঋতুর কথা বলা হয়, সেই ছয় ঋতু আর নেই। কিছু ঋতু হারিয়ে গেছে।
×