ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাসউদ্দীনের জন্মবার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত: ০৮:১১, ১৪ নভেম্বর ২০১৯

 ভাওয়াইয়া সম্রাট আব্বাসউদ্দীনের জন্মবার্ষিকী পালিত

সংস্কৃতি ডেস্ক ॥ সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানের লেডিস ক্লাবে আব্বাসউদ্দীন সঙ্গীত একাডেমির ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং উপমহাদেশের ভাওয়াইয়া গানের পথিকৃৎ মরমি শিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমেদের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হয়। আব্বাসউদ্দীনের সুযোগ্য কন্যা বিশিষ্ট সঙ্গীত ব্যক্তিত্ব ও আব্বাসউদ্দীন সঙ্গীত একাডেমির অধ্যক্ষ ফেরদৌসী রহমানের উদ্যোগে অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, কণ্ঠশিল্পী মুস্তাফা জামান আব্বাসী। বিশেষ অতিথি ছিলেন বরেণ্য লোকশিল্পী ইন্দ্র মোহন রাজবংশী, বিশিষ্ট নজরুল সঙ্গীতশিল্পী সাদিয়া আফরিন মল্লিক, বিশিষ্ট কণ্ঠশিল্পী ড. নাশিদ কামাল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে ফেরদৌসী রহমান বলেন, এই সঙ্গীত একাডেমির প্রথম মোমবাতি জ্বালানোর অর্থ আমার স্বামী রেজাউর রহমানই দিয়েছিলেন। তারপর থেকে এই একাডেমির অর্থায়নেই একাডেমি পরিচালিত হয়েছে। কষ্টের বিষয় হচ্ছে এই তিন দশকে বিভিন্ন দল ক্ষমতায় এসেছেন। কিন্তু আব্বাসউদ্দীন একাডেমির জন্য একটি নির্ধারিত স্থান করে দিতে কোন সরকার এগিয়ে আসেনি। আমার বাবা আব্বাসউদ্দীন বেঁচে থাকবেন আগামী প্রজন্মের মধ্যে তাদের গানে গানে। আমি যে এই প্রজন্মের শিশুদের মধ্যে গানের বিষয়টা ফুটাতে পারছি, এটাই অনেক কিছু। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মুস্তাফা জামান আব্বাসী বলেন, ছোট ছোট শিশুদের মধ্যেই আমরা আগামী দিনের প্রতিনিধি খুঁজে পাচ্ছি। একদিন হয়তো আমরা থাকব না। কিন্তু তাদের মধ্যদিয়েই আব্বাসউদ্দীন আহমেদ যুগের পর যুগ বেঁচে থাকবেন। ইন্দ্র মোহন রাজবংশী বলেন, একজন আব্বাসউদ্দীন আহমেদের জন্ম না হলে আব্দুল আলিমের উত্থান হতো না ঠিক তেমনি আমাদেরও জন্ম হতো না। তাই একজন আব্বাসউদ্দীন আহমেদকে আমাদের বুকের মধ্যে লালন করতে হবে। অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন সাদিয়া আফরিন মল্লিক, ড. নাশিদ কামাল, সঙ্গীত পরিচালক ওস্তাদ ওমর ফারুক। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সঙ্গীতশিল্পী রুমানা ইসলাম, মেহরিন, দিঠি আনোয়ার, সংবাদ পাঠিকা শামীম আরা মুন্নী। শেষে একাডেমির শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। সঙ্গীত পরিবেশন করেন মুস্তাফা জামান আব্বাসী এবং একাডেমির শিক্ষার্থীরা।
×