ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বাউফলে ফের তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গনে লঞ্চঘাটসহ ১২ টি দোকান বিলীন

প্রকাশিত: ০৭:২১, ২৮ অক্টোবর ২০১৯

বাউফলে ফের তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গনে  লঞ্চঘাটসহ ১২ টি দোকান বিলীন

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, পটুয়াখালী ॥ বাউফলের ফের তেঁতুলিয়া নদীর ভাঙ্গনে ধুলিয়া লঞ্চঘাটসহ ১২ দোকান বিলনি হয়ে গেছে। রবিবার দিবগত রাতে এ ঘটনা ঘটেছে। বিলীন হয়ে যাওয়া দোকান হল-সোহরাব হোসেনের খাবার হোটেল, কৃষ্ণ দাস, বিকাশ রায়, সুমন গাজী, রতন রায়, নয়ন গাজী, আবদুর রবও স্বপন মিস্ত্রীর মুদি দোকান, অলিউল্লাহ শরীফের সারের দোকান, মামুন পালোয়ান ও বরুন রাঢ়ীর ওষুধের দোকান, সোহেল মৃধার চায়ের দোকান। এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর রাতে ধুলিয়া লঞ্চঘাসহ বিশাল এলাকা নদীতে বিলীন হয়ে যায়। পন্টুনটি নদীর মধ্যে ভাসতে থাকে। পরে পন্টুনটি পুনরায় স্থাপন করা হয়। সোমবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা ধুলিয়া গিয়ে দেখা গেছে, ধুলিয়া লঞ্চঘাটের পন্টুনটি নদীতে ভাসছে। ভাঙন থেকে রক্ষা করতে ১৫-২০টি দোকান অনত্র সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙন থেকে রক্ষার দাবিতে এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য চারদফায় মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসি। সর্বশেষ ১১ অক্টোবর, শুক্রবার সকালে তেঁতুলিয়া নদীর ধূলিয়া এলাকায় প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ফের মানববন্ধন করেছে কয়েক হাজার নারী ও পুরুষ। ওই সময় এক মুক্তিযোদ্ধা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষদের রক্ষার জন্য সরকার এগিয়ে না আসলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) সাবেক প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী এসএম সেলিম বলেন,তেঁতুলিয়া নদীর অব্যাহত ভাঙনে গত পাঁচ বছরে নতুন বাজার, ঘুচরাকাঠী, ধূলিয়া বাজার ও লঞ্চঘাট, মঠবাড়িয়া গ্রামের দুই সহাস্রাধিক বাড়ি-ঘর, ১০ হাজার একরেরও বেশি ফসলি জমি, মসজিদ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নদীর মধ্যে চলে গেছে। সব হারিয়ে কেউ কেউ ভিক্ষা করে জীবন চালাচ্ছে। ভাঙনের মুখে রয়েছে ভাষা সৈনিক, সাবেক সাংসদ সৈয়দ আশরাফ হোসেনের কবর, এনকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকশ বাড়ি-ঘর। তিনি টেকসই নদী শাসনের ব্যবস্থা করে ধূলিয়া ও দুর্গাপাশা ইউনিয়নের হাজারো অসহায় মানুষদের ভাঙন থেকে রক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
×