নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা ॥ বরগুনার আমতলী উপজেলার পশ্চিম চিলা গ্রামের গ্রাম পুলিশ (চৌকিদার) সেরাজ উদ্দিন বিরোধীয় জমির শালিস বৈঠকে তার ভাইয়ের ছেলে দুলাল মিয়া ও তার স্ত্রী রাজিয়া বেগম খুকিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে। আহতদের আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার সকালে।
জানাগেছে, উপজেলার পশ্চিম চিলা গ্রামের দুলাল মিয়ার ৫১ শতাংশ জমি তার চাচা গ্রাম পুলিশ সেরাজ উদ্দিন ২০ বছর ধরে জোরপূর্বক ভোগদখল করে আসছে। শুক্রবার ওই জমি নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ লিটন মোল্লার নেতৃত্বে শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই শালিস বেঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্থানীয় সার্ভেয়ার জামাল মৃধা জমি মেপে সীমানা পিলার পুতে দেয়। এতে বাঁধা দেয় গ্রাম পুলিশ সেরাজ উদ্দিন। এক পর্যায় ক্ষিপ্ত হয়ে শালিস ইউপি সদস্য লিটন মোল্লার সামনে গ্রাম পুলিশ সেরাজ উদ্দিন, তার ছেলে রাসেল ও তার লোকজন ভাইয়ের ছেলে দুলাল মিয়াকে (৩৫) বেধরক পেটাতে থাকে। স্বামীকে রক্ষায় স্ত্রী রাজিয়া বেগম খুকি (৩০) এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করে অবরুদ্ধ করে রাখে। পরে আহতদের স্বজনরা উদ্ধার করে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার হারুন অর রশিদ বলেন, আহতদের শরীরে বিভিন্ন স্থানে পেটানোর চিহৃ রয়েছে।
আহত দুলাল মিয়া কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, গত ২০ বছর ধরে আমার চাচা গ্রাম পুলিশ সেরাজ উদ্দিন প্রভাব খাটিয়ে আমার ৫১ শতাংশ জমি ভোগদখল করে আসছে। আমি এ জমি বুঝিয়ে দেয়ার জন্য চাচাকে বারবার অনুরোধ করলেও তিনি বুঝিয়ে দেয়নি। শুক্রবার এ জমি নিয়ে শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক সার্ভেয়ার জমি পরিমাপ করে আমার অংশ বুঝিয়ে দিয়ে পিলার পুতে দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চাচা, তার ছেলে ও তাদের লোকজন আমাকে পিটাতে থাকে। আমাকে রক্ষায় আমার স্ত্রী এগিয়ে এলে তাকেও পিটিয়ে আহত করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
আমতলী থানার ওসি মোঃ শহিদ উল্যাহ বলেন, কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।