ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষামন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বললেন স্বতন্ত্র এমপি তাহজীব

প্রকাশিত: ০২:২৭, ৯ জানুয়ারি ২০১৮

শিক্ষামন্ত্রীকে ক্ষমা চাইতে বললেন স্বতন্ত্র এমপি তাহজীব

সংসদ রিপোর্টার ॥ কর্মকর্তাদের সহনীয় মাত্রায় ঘুষ খাওয়ার কথা বলায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বললেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, নিশ্চয়ই একটি সফল, সার্থক সরকারের ভাবমূর্তি কোন দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যক্তির লাগামহীন বক্তব্যে ভুলণ্ঠিত হতে পারে না। প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়েও শিক্ষামন্ত্রীর সমালোচনা করেন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাগরিবের বিরতীর পর পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে তাহজীব আলম সিদ্দিকী বলেন, ’ অতি কথন দুষ্টে দুষ্ট আমাদের শিক্ষামন্ত্রী। তাঁর অতিবির্তকীত মন্তব্যে নিশ্চয়ই সরকারের ভাবমূর্তি কিছুটা হলেও ক্ষুন্ন হয়েছে।’ গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের উদ্বৃতি দিয়ে তিনি বলেন, শিক্ষাভবনে কর্মকর্তাদের ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের বলেছেন ‘আপনারা সহনীয় পর্যায়ে ঘুষ খাবেন, ঘুষ না খেতে বলার নৈতিক সাহস আমার নেই। কারণ আমি ঘুষ খাই, মন্ত্রীরা ঘুষ খান।’ স্বতন্ত্র এ সংসদ সদস্য ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রয়াত মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রী ছায়েদুল হক ছাড়াও সফল মন্ত্রীগণ যারা স্বচ্ছতা ও সততার সঙ্গে সকল বির্তকের উর্ধ্বে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন, তাঁদের কাছে প্রথমে শিক্ষামন্ত্রীকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার অনুরোধ করছি, আবেদন করছি, নিবেদন করছি। তিনি আরও বলেন, শিক্ষামন্ত্রীকে অবশ্যই সংসদে দাঁড়িয়ে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখা দিতে দিতে হবে এবং সত্যি সত্যি উনি যদি আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ হন, তাহলে সমগ্র সরকারকে বিতর্কিত না করে নিজ পদ থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেওয়া উচিত। নিশ্চয়ই একটি সফল, সার্থক সরকারের ভাবমূর্তি কোন দায়িত্বজ্ঞানহীন ব্যক্তির লাগামহীন বক্তব্যে ভুলন্ঠিত হতে পারে না। বিশেষ করে যারা নির্বাহী দায়িত্বে আছেন তাঁরা নিশ্চয়ই গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখবেন। জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম মিলন পয়েন্ট অব অর্ডারে ফ্লোর নিয়ে বলেন, শিক্ষার মান ক্রমেই নেমে যাচ্ছে। প্রতিটি পরীক্ষায় দেখা যাচ্ছে প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে। আর এ প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঙ্গে শিক্ষক ছাড়াও অনেকেই জড়িত রয়েছেন। কিন্তু প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে শিক্ষামন্ত্রী কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারছেন না।
×