স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভারতের গুয়াহাটির গোয়ালপাড়ায় বাদুংদুপ্পা কলাকেন্দ্রের আয়োজনে ‘আন্ডার দি শাল ট্রি’ থিয়েটার ফেস্টিভালে আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশের অন্যতম নাট্যদল মণিপুরি থিয়েটার। আগামী ১৫-১৭ ডিসেম্বর উৎসবটি অনুষ্ঠিত হবে। অষ্টমবারের মতো আয়োজিত এই উৎসবে বাংলাদেশ থেকে মণিপুরি থিয়েটারের জনপ্রিয় ‘ইঙাল আঁধার পালা’ নাটকটি মনোনীত হয়েছে। এবারই প্রথম বাংলাদেশের কোনো নাট্যদল উৎসবটিতে অংশগ্রহণ করছে। বাংলাদেশের বিজয় দিবসে আগামী ১৬ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় নাটকটি মঞ্চায়িত হবে। এই নাটকটি লিখেছেন ও নির্দেশনা দিয়েছেন শুভাশিস সিনহা। কথক বা সূত্রধারের ভুমিকায় আছেন জ্যোতি সিনহা। নাটকটি বাংলা ও বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি ভাষায় মঞ্চস্থ হবে। বাংলা ভাষায় সূত্রধারের ভূমিকায় অভিনয় করবেন জ্যোতি। অন্যান্য ভূমিকায় উজ্জ্বল সিংহ, অরুণা সিনহা, সুশান্ত সিংহ, বিধান সিংহ, শ্যামলী সিনহা, সুজলা সিনহা, প্রিয়াংকা সিনহা, সুনীল সিংহ, দীপু সিংহ ও সমরজিৎ সিংহ।
সঙ্গীতে রয়েছেন শর্মিলা সিনহা ও অঞ্জনা সিনহা, বাদ্যে বাবুচান সিংহ, বিধান চন্দ্র সিংহ, সুশান্ত সিংহ ও ভাগ্যবতী সিনহা। আলোক প্রক্ষেপণে শাহজাহান মিয়া। ব্যবস্থাপনায় সঞ্জিত সিংহ। মণিপুরি এক মৃদঙ্গবাদকের মৃদঙ্গ হারানোর করুণ কাহিনীর মধ্য দিয়ে প্রতীকীভাবে একটি জাতিসত্তার সাংস্কৃতিক সংকটকে নাটকটিতে রূপায়িত করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নাটকটির ৩০টির মতো প্রদর্শনী হয়েছে।
শালবনের ভেতর আয়োজিত এই উৎসব ভারতের অর্গানিক থিয়েটার ফেস্ট হিসেবেও জনপ্রিয়। এই উৎসবের বৈশিষ্ট হলো এখানে দিনের আলোয় কোন প্রযুক্তি বা যন্ত্রপাতির ব্যবহার ছাড়া কেবল শরীরী কৌশলের মধ্য দিয়ে নাটক মঞ্চায়ন করা হয়। বিকল্প থিয়েটার ফেস্টিভাল হিসেবেও এটি পরিচিত। ভারত ও বিশ্বের এক্সপেরিমেন্টাল ও ফিজিক্যাল প্রযোজনাগুলো এখানে মঞ্চস্থ হয়। নাটকের প্রদর্শনী হয় উন্মুক্ত মঞ্চে।
প্রতিটি প্রদর্শনীতে দুই হাজারেরও বেশি দর্শকের সমাগম হয় উৎসবের। মণিপুরি থিয়েটার ১১ ডিসেম্বর সোমবার ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে। দশ দিনের সফরে আসাম ও ত্রিপুরার আরও ৪টি জায়গায় নাট্যপ্রদর্শনী করবে দলটি। ‘ইঙাল আঁধার পালা’ ছাড়াও ত্রিপুরার কৈলাসহর ও ধর্মনগর এবং আসামের শিলচর ও গুয়াহাটিতে মণিপুরি থিয়েটারের ‘কহে বীরাঙ্গনা’ নাটকের ৪টি প্রদর্শনী হবে বলে দল সূত্রে জানা গেছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: