নিজস্ব সংবাদদাতা, জামালপুর ॥ জামালপুরে নিলুফা আক্তার (৩০) নামের দুই সন্তানের জননী এক গৃহবধূকে হত্যার পর কৌশলে অসুস্থতার অজুহাত দেখিয়ে তার লাশ জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। বুধবার রাতে এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটে। হাসপাতাল সূত্র বলেছে, শিমুল নামের এক ব্যক্তি বুধবার রাত পৌনে দশটার দিকে তাকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে এলেও তাকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। বৃহস্পতিবার বেলা তিনটার দিকে নিহত ওই নারীর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
জানা গেছে, জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার গাঁওকুড়া গ্রামের মো: বেলালের স্ত্রী নিলুফা আক্তার শনিবার সদর উপজেলার নরুন্দির মাঝপাড়ায় তার বাবার বাড়ি থেকে ইসলামপুরে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে বের হন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। নিলুফাদের সংসারে এক ছেলে নিরব জামালপুর শহরের একটি বেসরকারি স্কুলের নবম শ্রেণির আবাসিকছাত্র। তাদের এক মেয়ে বিথিও ইসলামপুরের একটি স্কুলে নবম শ্রেণিতে পড়ে। এদিকে বুধবার রাত পৌনে দশটার দিকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা একজন নারী মারা যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে।
পরে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইসলামপুর উপজেলার কুলকান্দি ইউনিয়নের শিমুল নামের এক ব্যক্তি ওই গৃহবধূকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে যান। হাসপাতালের রেজিস্ট্রারে শিমুলের বাবার নাম মনতাজুর রহমান, ঠিকানা কুলকান্দি ও দুটি মোবাইল ফোন নম্বর লেখা থাকলেও ওই নম্বরে ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায় না।
ফোন বন্ধ পাওয়ায় এই দম্পতির উভপক্ষের স্বজনদের শিমুলের প্রতি সন্দেহ হয়। নিহত ওই নারীর সহোদর ভাই হাফিজুর রহমান জানান, শিমুল তার বোন নিলুফার স্বামী বেলালের বন্ধু। ছয়মাস আগে একবার বেলালের সাথে নরুন্দিতে তাদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন। বেলাল এবং তার স্বজনেরাও নিলুফার মৃত্যু ঘটনার সাথে শিমুলের জড়িত থাকার সন্দেহ করছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, শিমুলকে গ্রেপ্তার করা হলে নিলুফার মৃত্যুর রহস্য জানা যাবে। এ ব্যপারে শিমুলকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করা হবে বলেও নিহতের স্বজনেররা জানিয়েছেন।
