ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে ছাত্রদল নেতার ধর্ষনের ভিডিও নিয়ে তোলপাড়

প্রকাশিত: ২৩:৫০, ৫ নভেম্বর ২০১৭

কক্সবাজারে ছাত্রদল নেতার ধর্ষনের ভিডিও নিয়ে তোলপাড়

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ পেকুয়া উপজেলায় ছাত্রদল নেতার ধর্ষণের ভিডিও ও ছবি নিয়ে জেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ধর্ষনের ভিডিওসহ ছবি এখন পেকুয়ার সর্বত্র ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ধর্ষক ছাত্রদল নেতার পরিবারের লোকজন ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রীর অসহায় পরিবারকে এ বিষয়ে মামলা না করতে লাগাতার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি মীমাংসা করে দেয়ার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে পেকুয়া সদর ইউসিদস্য মো: ইসমাইল মেম্বার। এ ঘটনার ধর্ষণের শিকার স্কুল ছাত্রীর পরিবার থানায় এজাহার নিয়ে ধর্ষকের বিরুদ্ধে এজাহার দিতে গেলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। প্রেম-ভালবাসা নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে শুনেছেন দাবী করে পেকুয়া থানার ওসি (প্রশাসন) জহিরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় কেউ এজাহার নিয়ে আসেনি। ইসমাইল মেম্বার সমাধা করে দেয়ার জন্য চেষ্টা করছেন। ইসমাইল মেম্বার জানান, তিনি ছেলে ও মেয়ের পরিবারের মধ্যে সমঝোতা করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। গত এক সপ্তাহ পূর্বে পেকুয়া চৌমুহুনীস্থ পুরাতন জমিদার বাড়িস্থ পেকুয়া জিএমসির শিক্ষক নুর মোহাম্মদ মাষ্টারের নিয়ন্ত্রণাধীন ছাত্রাবাস থেকে পেকুয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীর আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়ে পেকুয়া মডেল জিএমসি ইনষ্টিটিউশন ছাত্রদলের সভাপতি ও এসএসসি পরীক্ষার্থী মো. আরিফ। ছাত্রদল নেতা আরিফ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও নিজের মোবাইলে ধারণ করে। খবর পেয়ে ওই বাসায় গিয়ে ‘আপত্তিকর অবস্থায়’ তাদের দুইজনকে ধরে অভিভাবকের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। ছাত্রদল নেতা আরিফ পেকুয়া সদর ইউনিয়নের বাইম্যা খালী গ্রামের প্রবাসী সাকেরের পুত্র। জানা গেছে, পেকুয়া জিএমসি ইনষ্টিটিউশন শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আরিফ ঘটনার দিন পেকুয়া জিএমসির পশ্চিম পার্শ্বে পুরাতন জমিদার বাড়িস্থ নুর মোহাম্মদের নিয়ন্ত্রণাধীন ছাত্রাবাসে ফুসলিয়ে বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রীকে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে গিয়ে বিয়ের প্রলোভনে ওই ছাত্রীকে ধর্ষন করে। আর ধর্ষণের ভিডিও নিজের মোবাইলে ধারণ করে ছাত্রদল নেতা আরিফ। স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ওই ছাত্রীর পরিবার খুবই দরিদ্র। ধর্ষকের পরিবার প্রভাবশালী হওয়ায় থানা বা আদালতে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর পরিবার মামলা করতে সাহস পাচ্ছেনা। পেকুয়া জিএমসি ইনষ্টিটিউশন ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ইসমাইল মেম্বার ধর্ষণের ঘটনাটি মীমাংসার জন্য ঘটনার পর থেকে নানান ধরনের চেষ্টা তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছেন।
×